আজকাল অতিরিক্ত টেনশন থেকে মানসিক স্থিতি ঠিক থাকে না। মানুষ ডিপ্রেশনের দিকে চলে যায়। এরকম সমস্যায় পরিবার অনেকটাই সাপোর্ট দিতে পারে, কিন্তু যারা পরিবারের সাথে থাকে না একা থাকেন তাদের অবস্থা হয় আরো খারাপ। যা মৃত্যুর দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয় ওই মানুষটিকে। আর এই ভাবেই লাস্ট দুই বছর ধরে কত মানুষকেই সুইসাইড করতে দেখেছি আমরা। কত চেনাশোনা মুখ কেউ বাংলা সিরিয়াল করে বা কেউ হিন্দি।
তাদের কেরিয়ার ভালো চললেও মানসিক শান্তির অভাবে এমন কাজ করতে দেখা যায়। ঠিক তেমনি আরো একটি কাণ্ড ঘটলো মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের তেজাজি নগরে। সেখানে থাকেন হিন্দি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বৈশালী ঠক্কর। সেখানেই তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানাচ্ছে পুলিশ। ইন্দোরের তেজাজি নগর থানা এলাকার সাইবাগ কলোনিতে থাকতেন বৈশালী। ইন্দোরের বাড়িতে গলায় ফাঁ’স দিয়ে আ’ত্মহ’ত্যা করেছেন তিনি। পাওয়া গেছে তার ঘর থেকে একটা সুইসাইড নোট ও।
তবে সেই সুইসাইড নোটে কি লেখা আছে তা এখনই জানা যায়নি। তবে খুব তাড়াতড়িই সামনে আনবেন পুলিশ তেমনি জানাচ্ছেন। বৈশালী ঠক্কর মাত্র ৩০ বছরের একটি মেয়ে। বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন তিনি। যথেষ্ট জনপ্রিয়তাও ছিল তাঁর। স্টার প্লাসের সিরিয়াল ইয়ে রিশতা কেয়া কেহলাতা হ্যায় দিয়ে শুরু হয়েছিল তাঁর কেরিয়ার।
এরপর ‘ইয়ে বাদা রাহা’, ‘ইয়ে হ্যায় আশিকি’, ‘শ্বশুরাল সিমর কা’, ‘সুপার সিস্টার’, ‘লাল ইশক’ এবং ‘বিষ ও অমৃত’-এর মতো শো-তে কাজ করেছেন। কেরিয়ার নিয়ে তার কোনো সমস্যা ছিল বলে আপাত দৃষ্টিতে মনে করা যাচ্ছে না তবে তার ব্যাক্তিগত জীবন একটু ঘেঁটে গিয়েছিল কয়েকমাস আগে। কারণ অভিনেত্রীর গত বছর এপ্রিলেই এনগেজমেন্টের খবর দিয়েছিলেন তিনি।
রোকার ছবিও ভাগ করে নিয়েছিলেন তার হবু বর ডক্টর অভিনন্দন সিং। কেনিয়ার দাঁতের ডাক্তার অভিনন্দন। যদিও এরমাত্র একমাস পরেই বৈশালী জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি আর অভিনন্দনকে বিয়ে করতে চান না। বিয়ে বাতিলও করে দেন তাঁরা। যা এই বছরের জুন মাসে হওয়ার কথা ছিল। পরে রোকার ভিডিয়োও ইনস্টাগ্রাম থেকে মুছে ফেলেন এই টিভি অভিনেত্রী। এবার সেই নিয়েই কি সমস্যা তা সুইসাইড নোটটা প্রকাশ্যে এলেই হয়তো জানা যাবে। তবে এরকম একটি ঘটনায় তার সহকর্মীরা সত্যি হতাশ। অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছেন এই ঘটনা শোনার পরে।