সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

দেশভাগের য’ন্ত্র’ণাকে ম’নে রাখতে ১৪ আগস্ট পা’লি’ত হবে “বিভাজন বিভীষিকা স্মরণ দিবস”: প্রধানমন্ত্রী

দেশভাগের যন্ত্রণা আজও দেশপ্রেমীদের তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়। ভারতীয় ইতিহাসের সেই ভয়ঙ্কর অধ্যায় আজও বহু মানুষের কাছে দুঃস্বপ্ন স্বরূপ। বর্তমান প্রজন্ম দেশভাগের সময় এর সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য মনে মনে পরিকল্পনা করলেও রীতিমতো আঁতকে ওঠেন। ওই দিনটিকে ভোলা ভারতবাসীদের পক্ষে সম্ভব নয়। সম্প্রতি নিজের বক্তব্যে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে তিনি ১৪ই আগস্ট দিনটিকে ‘বিভাজন বিভীষিকা স্মরণ দিবস’ (Partition Horrors Remembrance Day) হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী এদিন একটি টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, দেশভাগের সেই ভয়ঙ্কর দিনটির কথা কোনদিনও ভোলা যাবে না। লক্ষ লক্ষ মানুষকে সেদিন ঘর ছাড়তে হয়েছিল। ঘৃণা এবং হিংসার কারণে বহু মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। সেদিনের সেই মানুষদের আত্ম বলিদান এবং সংগ্রামকে স্বীকৃতি দিতে কার্যত এবার থেকে প্রতি বছর ১৪ ই আগস্ট দিনটিকে ‘বিভাজন বিভীষিকা স্মরণ দিবস’ (Partition Horrors Remembrance Day) হিসেবে পালন করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

একই সঙ্গে তিনি আরেকটি টুইট করেন এই দিন। সেখানে তিনি লিখেছেন সামাজিক ভেদাভেদ দূর করে দেশবাসীকে একসুরে বেঁধে রাখতে সহায়তা করবে এই বিশেষ দিনটি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও এদিন এই নিয়ে একটি টুইট করেছেন। তিনি তার টুইট বার্তায় লিখেছেন, দেশভাগের সময় হিংসা ও ঘৃণার কারণে ভারতের বহু ভাই-বোনকে প্রাণ হারাতে হয়েছিল। তাদের ত্যাগ, সংঘর্ষ এবং বলিদান স্মরণে রেখে প্রধানমন্ত্রী ১৪ আগস্টকে ‘বিভাজন বিভীষিকা স্মরণ দিবস’ হিসেবে পালন করার কথা বলেছেন।

উল্লেখ্য দেশের স্বাধীনতার একটি কালো দিক ছিল দেশভাগ। অন্ততপক্ষে প্রায় দশ লক্ষ মানুষকে সেদিন প্রাণ হারাতে হয়েছিল। দেড় কোটি হিন্দু, শিখ ও মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষ পায়ে হেঁটে অথবা ভিড়বহুল ট্রেনে উঠে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন। সেই বিভীষিকাময় দিনের কথা স্মরণ করলেও আঁতকে ওঠেন তারা।