অমাবস্যা তিথিতে মা কালীর পুজো এই বৃহস্পতিবার। দীপাবলি উৎসব। মঙ্গলবার ধনতেরাস। বুধবার ভূত চতুদর্শী। পরপর উৎসব রয়েছে। তবে এই ধনতেরাস থেকে ভূত চতুর্দশী, প্রতিটি দিনেরই আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। বাংলায় ফের উৎসবের আবহ। কালীপুজোর আগেই ধনতেরস। সেজে উঠেছে শহরের সোনার দোকানগুলি। সংসারের শ্রীবৃদ্ধি কামনায় চলছে সোনা, রুপো কেনা। ধন ত্রয়োদশী থেকে ধনতেরস শব্দের উৎপত্তি।
পুরাণ মতে, সমুদ্র মন্থনে কুবেরের সঙ্গে উঠে এসেছিলেন দেবী লক্ষ্মী। সেই দিনটি ছিল কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথি। এই দিনই লক্ষ্মীর আরাধনায় মাতে গোটা দেশ। মূলত উত্তর ভারতের ধনতেরস এখন সর্বজনীন। পুরাণবিদ শিবশংকর ভারতী জানিয়েছেন, “অবাঙালিদের উৎসব। এই দিন সোনা, রুপো কিনলে শ্রীবৃদ্ধি হয় বলে বিশ্বাস।”
পঞ্জিকা মতে, এ বছর ধনতেরসে কেনাকাটার শুভ সময় মঙ্গলবার সকাল ৮টা ২৫-১০টা ৫৭ মিনিট। সন্ধে ৭টা২৯ থেকে রাত ৮টা ২০মিনিট। রাত ৯টা ১১ থেকে ১১টা ৪৫মিনিট এবং বুধবার ভোর ৫টা ৪৫-সকাল ৬টা৩০ মিনিট।
অন্যদিকে, ত্রয়োদশী পেরোলেই ভূত চতুর্দশী। কথিত আছে, নরকাসুর এদিন তার সঙ্গী ভূত-প্রেতদের নিয়ে মর্ত্যে আসেন পুজো নিতে। তাদেরকে দূরে রাখতেই চতুর্দশীতে ১৪ প্রদীপ দেওয়ার রীতি। শিবশংকর ভারতীর কথায়, মনে করা হয় ভূতেদের দূরে রাখতে ও পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে প্রদীপ। রীতি অনুসারে, ভূত চতুর্দশীতে ঘরের মধ্য জ্বালানো হয় ১৪টি মাটির প্রদীপ। খাওয়া হয় ১৪ রকমের শাক। কালীপুজোর আগের দিন ১৪ ভূবনের অধিপতি শিবের পুজো। ১৪ ভূবনের উদ্দেশে ১৪ প্রদীপ জ্বালা, পুজোর নৈবেদ্য ১৪ শাক।