যত দিন যাচ্ছে বাজারদর অগ্নিমূল্য হয়ে উঠছে। একটা সংসারে একজন কর্মঠ মানুষ থাকলেও সেই সংসার ভাল করে চলে না। তাই নারী পুরুষ নির্বিশেষে এখন উপার্জন করতে চাইছে। সকলেই ছোটো বড়ো কোনো না কোনো একটা সংস্থায় চাকরি করার চেষ্টা করছেন। কেউ বা ব্যাবসা করার চেষ্টা করছেন।
তবে সকলের ক্ষেত্রেই একটা ব্যাপার প্রযোজ্য যে, প্রতিটা কাজে টিকে থাকা একটা বড়ো চ্যালেঞ্জিং বিষয়। বিশেষ করে করোনার পর কর্মী ছাঁটাই, বা কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া এই প্রবণতা অনেক বেড়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে চাকরি টিকিয়ে রাখা বা চাকরি পাওয়া নিয়ে অনেকেই শঙ্কায় থাকেন। নতুন সেই কর্মসংস্কৃতিতে টিকে থাকতে হলে বাড়াতে হবে নিজের দক্ষতা। সব পেশাতেই নিজের জন্য যেসব দক্ষতা থাকতেই হবে :-
১. নতুন দক্ষতা অর্জন : আপনি হয়তো কোনও একটা কাজ খুব ভালো পারেন। কিন্তু ওই একটা কাজ দিয়ে প্রতিযোগিতার এই সময় টিকে থাকতে পারবেন না। নিজেকে আরও কাজে দক্ষ করে তুলুন। নতুন দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনে অনলাইন কোর্সে ভর্তি হোন। তাতে আপনার দক্ষতা, আত্মবিশ্বাসও বাড়বে।
২. সৃজনশীলতা : ভবিষ্যৎ যতই প্রযুক্তিনির্ভর হোক, মনে রাখতে হবে যন্ত্র কখনও মানুষকে ছাপিয়ে যেতে পারে না। তাই সৃজনশীলতা, নতুন অভিনব ভাবনাচিন্তা কখনওই পুরোনো হওয়ার নয়। নতুনভাবে কাজ করা, নতুন আইডিয়া, এ সবই চিরন্তন। নিজের সৃজনশীলতা বিকাশ করুন।
আরো খবর: ইঞ্জিনিয়ারের বেতন মাত্র ৩০ হাজার, বাড়ি থেকে উ’দ্ধা’র ১০ টি বিলাসবহুল গাড়ি ও ৩০ লাখের টিভি
৩. বিশ্লেষণী ক্ষমতা: সৃজনশীলতার পাশাপাশি বিশ্লেষণী ক্ষমতাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বর্তমান এই সময়ে । প্রাপ্ত তথ্যের বিশ্লেষণ, দূরদর্শিতা, নিরপেক্ষ ও যুক্তিসঙ্গতভাবে ভাবার ক্ষমতা, এ সবই জরুরি আগামী দিনগুলোয়।
৪. পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা: কর্ম পরিবেশে নানা ধরনের পরিবর্তন হতেই পারে। সব কিছু আপনার মন মতো হবে না। কর্মক্ষেত্রে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা ও মানসিকতা আপনার থাকতেই হবে। মনে রাখবেন, একমাত্র তা হলেই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে পারবেন।
৫. প্রযুক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব: প্রযুক্তির বদল ঘটছে, নিত্যনতুন আরও প্রযুক্তির প্রয়োগ হবে। সে সব প্রযুক্তি চটপট শিখে নিতে না পারলে চাকরির বাজারে টিকে থাকতে পারবেন না।
৬. নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা: আপনি কি অনেককে একটা লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করতে পারেন? সহকর্মীদের মধ্যে থেকে সেরাটা বের করে আনার ক্ষমতা রাখেন? তা হলে নিশ্চিতভাবেই বলা যায় আপনার মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে । প্রতিযোগিতামূলক কর্মজগতে এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় গুণ। এ গুণ থাকলে সাফল্য সারাজীবন আপনার সঙ্গে থাকবে।
