সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আঠারো বছর বয়সেই দুই সন্তানের মা, দুই ছেলেকে একাই বড়ো করেছেন খুব ক’ষ্টে, ভে’ঙে পড়লেন ঊর্বশী

একতা কপূরের ‘কসৌটি জিন্দেগি কে’ ধারাবাহিকের খলনায়িকা কমলিকা বসু চরিত্রটিকে মনে আছে নিশ্চয়ই! অভিনয় করেছিলেন ইন্ড্রাস্ট্রির জনপ্রিয় নায়িকা ঊর্বশী ঢোলাকিয়া। ঊর্বশীর যখন মাত্র ১৭ বছর বয়স তখন তিনি যমজ সন্তানের জন্ম দেন। আর ঠিক তার এক বছরের মধ্যেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তাঁর।

যেহেতু কমলিকা চরিত্রটি একটি নেগেটিভ চরিত্র, তাই তার মূল উদ্দেশ্যই ছিল সবসময় অন্যের জীবনের শান্তি নষ্ট করার পরিকল্পনা করা। কিন্তু কমলিকার বাস্তব জীবনের ছবিটা পর্দার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।

বলা ভালো তার জীবন খুবই কষ্ট এবং দুঃখ যন্ত্রণার। যমজ সন্তানদের মানুষ করার জন্য তিনি অনেক কষ্টে টাকা উপার্জন করেছেন এবং সংসার চালিয়েছিলেন। আর ঠিক এই কারণেই তাকে পড়াশোনা অবধি ছাড়তে হয়েছিল। ১৯৯৩ সালে ‘দেখ ভাই দেখ’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের সময় থেকেই এক ব্যক্তির সাথে প্রেম সম্পর্কে আবদ্ধ হন এই অভিনেত্রী।

আরো পড়ুন: সলমনের সা’থে ফিল্ম করতেই চা’ন না এই অভিনেত্রীরা! তবে কি বয়স ব’ড়ো বা’ধা হয়ে দাঁ’ড়া’চ্ছে ভাইজানের?

কিন্তু তাদের এই সম্পর্কে বাড়ির মত ছিল না। তাই ১৬ বছর বয়সেই বাড়ির অমতে তাঁকে বিয়ে করেন ঊর্বশী। কিন্তু বিয়ের পর শুরু হয় তীব্র মানসিক নির্যাতন। যা কোনভাবেই তার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। এই মারাত্মক পরিস্থিতিতেই মাত্র ১৭ বছর বয়সে ঊর্বশীর যমজ সন্তানের জন্ম হয়। তার দুই ছেলের নাম সাগর এবং ক্ষিতীশ।

মাত্র ১৮ বছর বয়সে কিশোরী ঊর্বশীর জীবনে নেমে আসে ঝড়। তখন মানসিক নির্যাতন আর সহ্য করতে পারছিলেন না তিনি,তাই বাধ্য হয়েই চ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সেই সময় তার জীবনে দুই সন্তানের দায়িত্ব। এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ঊর্বশী বলেছিলেন, “ওই কঠিন সময় ভোলা কার্যত আমার পক্ষে অসম্ভব।

আরো পড়ুন: নিজেদের দেশেই ভারতীয়দের প্র’বে’শ এই ৫ টি জায়গায় পুরোপুরি নি’ষি’দ্ধ

মাত্র আঠেরো বছর বয়স থেকেই আমি মা হিসেবে সম্পূর্ণ একা। সেই সময় আমার কাঁধে সাগর আর ক্ষিতীশের দায়িত্ব। সেই পরিস্থিতি তে কি করব, কোথায় যাব কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। ছেলেদের পড়াশোনার খরচ বাবদ ১৫০০ টাকাও ছিল না আমার কাছে।

তবুও ওদের মুখের দিকে তাকিয়ে হেরে যাইনি। লড়াই করার শক্তি অর্জন করার ক্রমাগত চেষ্টা করেছি।” তাঁর অনুরাগীরাও তাঁর জীবন সংগ্রামের এই কাহিনী তে খুব অনুপ্রাণিত হয়েছে। এহেন লড়াইয়ের কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী।