সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ইউক্রেনের মারিওপলে ১২০০ স্থানীয় বাসিন্দাদের মৃ’ত্যু হয়েছে রুশ হা’ম’লা’য়, বলছে রিপোর্ট

পৃথিবীর বুক থেকে করোনার রেশ কাটলো কি কাটলো না তার ঠিক নেই, এরই মধ্যে রুশ বনাম ইউক্রেনের বিধ্বংসী যুদ্ধে আতঙ্কিত গোটা বিশ্ববাসী। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বর্তমান পরিস্থিতিতে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। রাশিয়ার মতো প্রবল শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে দমিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা নেই ইউক্রেনের।

তাই বোঝাই যাচ্ছে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ আদতে একটি অসম যুদ্ধ। কিন্তু যত কষ্টই হোক, মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা তো আর মিথ্যে হতে পারে না! তাই নিজের মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে ব্রতী হয়েছেন ইউক্রেনের সেনা কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ ইউক্রেনীয়। ইউক্রেনের উপর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি অতর্কিত আক্রমণ করেছিল রাশিয়া। শুরু হয়েছিল রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। আর এই যুদ্ধের জেরে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

একাধিক বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। রাজপথে উপচে পড়ছে মৃতদেহের স্তূপ। ১০ মার্চ ইউক্রেনের বন্দর শহর Mariupol-এ শেল ছুড়তে আরম্ভ করে রুশ সেনা। এরফলে Kyiv, Kharkiv, Sumy-র পর এবার যুদ্ধক্ষেত্রের চেহারা নিল Mariupol। ইউক্রেন সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত Mariupol-এ ১ হাজার ২০০ জন বাসিন্দা মারা গিয়েছে।

আরো পড়ুন: বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার এক্সপ্রেসের ভা’ড়া অনেকটা বাড়লো, প’থে না’ম’বে টিএমসি

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই উদ্ধারকর্মীরা তৎপর হয়েছে ওই শহরের অসহায় মানুষের উদ্ধারকার্যে। গণসমাধি খনন হয়েছে। ২৫ মিটার দীর্ঘ একটি সুরঙ্গ খনন করে মৃতদেহগুলিকে সমাধিস্থ করা হচ্ছে। কার্পেটে জড়িয়ে মৃতদেহগুলি ফেলে দেওয়া হচ্ছে ওই সুড়ঙ্গে। দু’লাখ মানুষ বিপদে পড়ে রয়েছেন ওই শহরে। তারা কেউই খাদ্য এবং জল পাচ্ছেন না।

সবথেকে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে ওই শহরে। একটি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগেও বোমা পড়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট Volodymyr Zelenskyy মর্মান্তিক ওই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন। এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “পরিশ্রমী মানুষের শহর Mariupol এতদিন শান্তিতে পরিপূর্ণ ছিল। কিন্তু আজ এই ভয়াবহ পরিস্থিতি গ্রাস করেছে সেই শহরকে।

ইচ্ছাকৃতভাবে ওই এলাকার মানুষগুলোর উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। এমনকি Mariupol -এর সঙ্গে বাকি ইউক্রেনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।” রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে সমস্যার সম্মুখীন ইউক্রেনবাসী। জেলেনস্কি আরও বলেন, “ওখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের কাছে খাবার কিংবা জলটুকু পৌঁছতে দেওয়া হচ্ছে না। আর জল না পেয়ে ওই এলাকায় এক শিশুও মারা গিয়েছে।

আরো পড়ুন: কাশ্মীর ফাইলস বি’ত’র্কে এবার মু’খ খুললেন কপিল শর্মা

নাৎসিদের আক্রমণ বন্ধ হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত ওই ঘটনা কখনওই ঘটেনি। এক সপ্তাহ আগেও যা ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্ন বলে মনে হয়েছিল, তা এখনও কঠোর বাস্তব। আমরা জানি না এই যুদ্ধের পরিণতি আর কি হতে চলেছে। কিন্তু, এই মুহূর্তে যদি Vladimir Putin-কে আটকানো না হয়, তবে গোটা পৃথিবীর মানুষকে ভয়াবহ বিপদের হাত থেকে কেউ আটকাতে পারবে না।”