সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

শীঘ্রই যেন ছা’ড়া পান অনুব্রত মন্ডল, অ’বা’ক করা কা’ন্ড ঘ’টা’লে’ন মহিলারা!

ছবি ও তথ্য: NEWS18 বাংলা

আজ প্রায় অনেকদিন হয়ে গেলো তৃণমূলের বেশ কয়েকজন হেভি ওয়েট নেতারা গ্রেফতার হয়েছেন সিবিআই ও ইডির হাতে। আর তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন বীরভূম জেলার তৃণমূল সাংসদ অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে গোরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও অনেক বেআইনি সম্পত্তির হদিশ ও মিলেছে। তাই এত সহজে তাঁর যে ছাড়া পাওয়া হচ্ছে না সেটা তো বোঝাই যাচ্ছে।
কিন্তু গতকাল একটি অন্য দৃশ্যই দেখা যায় মহম্মদবাজারে।

সংবাদমাধ্যম মারফত জানা যাচ্ছে যে, গতকাল বিকাল ৩ টের সময় বীরভূমের মহম্মদবাজার থেকে মাথায় চাদর নিয়ে দাতাবাবার মাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন কিছু মহিলা তৃণমূল কর্মী। তাদের উদ্দেশ্য হলো মাজারে গিয়ে পর্থনা করা অনুব্রত মন্ডল যাতে ছাড়া পেয়ে যায় আর আবার তিনি বীরভূমে নিজের অফিসে বসতে পারেন সেই কারণেই। আর তাই প্রায় ৭ ঘন্টা পায়ে হেঁটে তারা রাত ১০ টা নাগাদ সিউড়ির পাথর চাপুরী মাজারে পৌঁছয় সেই মহিলার দল।

তারা মাজার অত রাতে খোলা না পেয়ে বাইরেই বসে থাকে সকাল বেলা মজার খুললে তারা জেলে থাকা অনুব্রত মণ্ডলের শুভ কামনা ও জেল থেকে যাতে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে এসে আবার রাজনৈতিক সংগঠনে যোগ দেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল , সেই কামনা করে দাতাবাবার মাজারে চাদর চাপান ও বীরভুমবাসীর জন্য দোয়া ( প্রার্থনা ) করেন তারা।

আরো পড়ুন: আগামী বছরের ছুটির তা’লি’কা প্রকাশ করলো নবান্ন, ছুটি বে’শি না ক’ম?

সেই মহিলা দলের মধ্যেই একজন হলেন সাইদা খাতুন বলেন, “সবাই জানে দীর্ঘদিন ধরে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল রয়েছেন পুলিশি হেফাজতে । সেই কারণে পার্টির বিভিন্ন প্রোগ্রামে দাদার জায়গা ফাঁকা। কেষ্টহীন মঞ্চেই হচ্ছে পার্টির প্রোগ্রাম। দাদাকে ছাড়া একদম ফাঁকা লাগছে সমস্ত অনুষ্ঠান।

দাদা সব সময় সবার পাশে থেকেছেন , যে কোনও সমস্যায় সবার পাশে থেকেছেন । তাই দাদার জন্য দোয়া করতে আমরা মহম্মদবাজারের মহিলা তৃণমূল কর্মীরা মহম্মদবাজার থেকে সিউড়ির পাথর চাপুরী ২৫ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে দাতাবাবার মাজারে চাদর চপালাম এবং দাদার সঙ্গে গোটা বীরভূমবাসীর জন্য দোয়া করলাম।”

এটি একটি অপ্রত্যাশিত দৃশ্য। অনেক লোকই অবাক হয়েছেন তাদের সেই কাণ্ডে। অনুব্রত মণ্ডলের ওপর যেখানে গোটা দেশ বিরোধিতা করছে সেখানে এরকম অনুব্রত অনুগত মানুষ দেখা মিলছে সত্যি আশ্চর্যের।