২ রা অক্টোবর প্রমোদ তরীর মাদক পার্টি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল আরিয়ান খানকে। ড্রাগ নেওয়ার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। শুধু আরিয়ান খান নয়, এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরো দশ জনকে। বারবার জামিনের আবেদন দেওয়া সত্ত্বেও আবেদন খারিজ হয়ে যাচ্ছিল আরিয়ান খানের, ফলে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত ছিলেন শাহরুখ খান। বিবাহ বার্ষিকী থেকে জন্মদিন সবকিছুই বন্ধ ছিল খান পরিবারে।
প্রায় এক মাস জেলে থাকার পর অবশেষে জামিনে মুক্তি পাবেন শাহরুখ খান পুত্র আরিয়ান খান। খান পরিবার জুড়ে খুশির হাওয়া বয়ে গেছে এই সংবাদ পাওয়ার পর। খান পরিবারের সকলে শুরু হয়ে গেছে প্রস্তুতিপর্ব, বড় সন্তানের বাড়িতে ফেরার আসার আনন্দে। কিন্তু জামিন পেলেও কিছু নির্দেশ মেনে চলতে হবে আরিয়ানকে। এমন কয়েকটি কাজ আছে যা তিনি জেল থেকে বেরোনোর পরেও করতে পারবেন না। চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন কোন কাজ থেকে তিনি বিরত থাকবেন, যতদিন না এই সমস্যা মিটে যায়।
বিদেশ ভ্রমণ: এনসিবির দেওয়া শর্ত অনুযায়ী, আদালতের কাছে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে আরিয়ান খানকে। নির্দেশে বলা হয়েছে, আরিয়ান বিশেষ অনুমতি ছাড়া দেশ ছাড়তে পারবেন না।
দেশের মধ্যে কোথাও ভ্রমণ: বিদেশের মতোই দেশের মধ্যেও কোথাও ঘুরতে পারবেন না তিনি। এমনকি মুম্বাই ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে হলে অনুমতি নিতে হবে এনসবির কর্তাদের।
মামলার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি: জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর মাদক মামলা বিষয়ে কোনো কথোপকথন সংবাদমাধ্যমের সামনে করতে পারবেন না আরিয়ান খান। এমনকি ফেসবুক অথবা ইনস্টাগ্রামে কোন কিছু লেখালেখি করতে পারবেন না তিনি।
সহ অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ: জেল থেকে বেরিয়ে সহ অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন না আরিয়ান খান। তিনি সহ অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন না।
এছাড়াও সাক্ষীকে প্রভাবিত করা, তদন্তে অসহযোগিতা করা, প্রমাণ নষ্ট করে দেওয়া, এসব কিছুই করতে পারবেন না তিনি। এই সব কিছুই ভারতীয় দণ্ডবিধির সব মামলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। জামিনের প্রতিলিপি জেল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানোর পরই আরিয়ান পাবেন মুক্তি। তাই আপাতত অপেক্ষায় রয়েছেন শাহরুখ খান সহ গোটা খান পরিবার।
