সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ফে’র পাতে উ’ঠ’বে সুস্বাদু ইলিশ, ইলিশের সন্ধানে শু’রু হ’চ্ছে অভিযান

বাঙালি পাতে ইলিশ ভাপার সেই ঝাঁঝালো গন্ধ না পেলে ভুরিভোজের সেই আমেজটাই আসে না। কি ঠিক বলছি তো! মৎস্য রাণী ইলিশ ভাজার গন্ধ রান্না ঘর থেকে নাকে ভেসে আসলেই মনে পড়ে যায় বৃষ্টির দিনে গরম গরম খিচুড়ি আর ইলিশ মাছ ভাজার কথা। আর সেই মৎস্য রাণীর সন্ধানেই ফের সমুদ্রের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলেন দিঘা শংকরপুরের মৎস্যজীবীরা।

১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সমুদ্রে নেমে মাছ ধরার উপর সরকারিভাবেই নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল কারণ এই সময়টা মাছের প্রজননের সময়। আর এই নিষেধাজ্ঞা শুধু এ বছরের জন্য হয়, এই ৬১ দিন প্রতি বছরই সমুদ্রে মৎস্যশিকার বন্ধ থাকে।

সব নিষেধাজ্ঞার অবসান হল আজ। মৎস্যজীবীরা প্রায় দুই হাজার ট্রলার নিয়ে আজ ফের পাড়ি দিয়েছেন দূর সমুদ্রে। মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির আশা, যেহেতু মৌসুমের শুরুতেই হালকা বৃষ্টি ও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া রয়েছে, তাই এবছর হয়তো প্রচুর ইলিশ উঠবে।

আরো পড়ুন: বারবার বললেও স্ত্রী বাপের বাড়ি থে’কে ফেরেননি, স্বামী ছেলেকে নি’য়ে যা করলেন

এই আশা নিয়েই মাছ ধরার সব জিনিস জোগাড় করে আজ সকালেই সমুদ্র অভিযান শুরু করেন সকলে। গতকাল থেকেই শঙ্করপুর মৎস্যবন্দর, পেটুয়াঘাট, দিঘা মোহনায় চলছে মৎস্যজীবীদের শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি পর্ব।

ট্রলার বোঝাই করা হয়েছে মাছধরার জাল, জ্বালানী তেল, বরফ এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে। এবছর সমুদ্র অভিযান প্রসঙ্গে প্রশাসনের তরফেও কড়া নজর রাখা হচ্ছে৷ সেই সাথে নিরাপত্তার দিকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পেটুয়াঘাট মৎস্য বন্দরের বিশেষ আধিকারিক অরিন্দম সেনগুপ্ত।

সমুদ্রে যাওয়ার আগে ট্রলারগুলিকে বৈধ রেজিস্ট্রেশনের কাগজ, মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রের কাগজ সঙ্গে নিতে হবে এবং সংগঠন অফিসে জমা করতে হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে প্রতিটি ট্রলারে লাইফ জ্যাকেট এবং পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত রাখার কথা বলা হয়েছে।

সেই সাথে ডিস্ট্রেস এলার্মিং ট্র্যান্সমিটার (DAT) এবং অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ট্রলারে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাই ইলিশ সন্ধানে সমুদ্রে পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে সব নিয়ম যাতে ঠিকঠাকভাবে মেনে চলা হয় সেদিকেই কঠোর নজর রাখা হচ্ছে।