সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এবার কি তবে গ্রে’ফ’তা’র হবেন অনুব্রত মন্ডল?

অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেপ্তারি কেবল সময়ের অপেক্ষা। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। গরু পাচার কাণ্ডে এমনিতেই ফেঁসে রয়েছেন বীরভূমের এই তৃণমূল সভাপতি। আদালতের দ্বারস্থ হয়ে একের পর এক সিবিআই তলব তিনি এড়িয়ে যাচ্ছেন।

রামপুরহাট কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যে ঘটনার মূল চক্রি হিসেবে অনুব্রত দিকে আঙ্গুল তুলেছে বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজর যে “কেষ্ট দার” দিকেই থাকবে তা বলাই বাহুল্য।

প্রসঙ্গত, সোমবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের বরশাল গ্রামের উপপ্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে খুন করা হয়। এরপর রাত বাড়তেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। তিন, চারটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন: দেশের মধ্যে প্রথম ইউনিফর্ম সিভিল কো’ড চা’লু হচ্ছে উত্তরাখণ্ডে, শ’প’থ নিয়েই ব’ড়ো ঘো’ষ’ণা ধামির

তাতেই পুড়ে অন্তত ১০ জনের মৃত্য়ু হয়েছে বলে খবর। একটি বাড়িতেই ৭ জন ছিল বলে খবর, তাঁদের প্রত্যেকের মৃত্যু হয়েছে। বড় অশান্তি এড়াতে রাতে গ্রামে পুলিশ মোতায়েন ছিল। তা সত্ত্বেও কীভাবে এতগুলি বাড়িতে আগুন লাগল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।

শুক্রবার রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআইকে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ৭ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ওইদিনই মামলার পরবর্তী শুনানি।

আদালতের আরও নির্দেশ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে সবরকম সাহায্য করতে হবে রাজ্য সরকারকে। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারেরও নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।

হাইকোর্টের আরও নির্দেশ, এই মামলায় রাজ্যের গঠিত সিট (SIT) আর কোনওরকম তদন্ত করতে পারবে না। ধৃতদের সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে।

আরো পড়ুন: রাশিয়া থেকে সামরিক স’র’ঞ্জা’ম আমদানিতে না, আগামী ৬ বছরে আত্মনির্ভর হ’বে ভারত

রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়।

সব মামলাকে একত্র করে শুনানি হয় হাইকোর্টে। এর আগে বুধবার রাজ্য পুলিশের সিট বা বিশেষ তদন্তকারী দলের কাছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছিল হাইকোর্ট।