সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কালো দিনগুলো স্ম’র’ণ করলেন অনিন্দ্য! স্মৃ’তি’র পাতা গু’লো উ’ল্টে দেখলেন অভিনেতা

বাংলা বিনোদনের জগতে সিনেমার অভিনেতাদের মতোই সিরিয়ালের অভিনেতা অভিনেত্রীরাও এখন যথেষ্ট জনপ্রিয় মুখ। তাঁদের সকলকেই দেখি আমরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কখনো এফবি কখনো ইনস্টাগ্রামে ভিডিও ও রীলস বানাতে। কখনো আবার নিজের জীবনের কথা তার ফ্যানদের সাথে ভাগ করে নিতে। ঠিক তেমনই দেখা গেলো অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর জীবনের অভিশপ্ত দিনগুলোর কথা ভাগ করে নিতে তার দর্শক বন্ধুদের সাথে।

বর্তমানে অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় স্টার জলসার জনপ্রিয় সিরিয়াল খড়কুটো থেকে শুরু করে গাঁটছড়াতে অভিনয় করছেন। তাঁর অভিনয় দক্ষতা যথেষ্টই চোখে পড়ার মতন। তাঁর সাফল্য শুধু সিরিয়ালেই নয় সিনেমা জগতেও ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকগুলো পপুলার ছবি তিনি করেছেন। কিন্তু তার প্রথম জীবন টা এই এত লাইটের আলোয় আলোকিত ছিল না। বরং একটা অন্ধকার জগৎ তে আটকে গিয়েছিলেন। তিনি নিজে জানান একটা সময় কি পরিমাণে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি।

তিনি বলেন, নেশা করতে করতে তিনি নিজের টাকা, মায়ের গয়না, বাবার সঞ্চয় সব শেষে করে দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, অ্যালুমিনিয়াম,কাঁসার জিনিস তখন সোনার মতো জিনিস এছাড়াও বাড়ির দামি জিনিস বিক্রি করেও তিনি নেশার টাকা জোগার করতেন। অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে পড়ে যে তিনি সেইসময় দেখতে পাচ্ছিলেন, চোখের সামনে মাদকাসক্ত হয়ে চারটে ইউজিং পার্টনারের মৃত্যু তবুও তিনি নিজেকে আটকাতে পারতেন না।

আরো পড়ুন: প্র’য়া’ত হলেন বি’খ্যা’ত গায়িকা বৈশালী বালসারা

তিনি এও বলেন যে, রিহ্যাবে যাওয়া আর সেখানে আবার কয়েকমাস চার দেওয়ালের মধ্যে থাকা ছাড়া তাঁর আর কোনো উপায় ছিল না। কিন্তু শেষ অব্দি তিনি ফাইট করে গেছেন। আর সময় লাগলেও তিনি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পেরেছেন। ইনস্টাগ্রাম মারফত একটা পোস্ট করে তিনি জানান এসবকিছু।

তিনি একটি ছবি পোস্ট করেন তাতে লেখেন, ‘ এই ছবিটি সম্ভবত ২০০৪/২০০৫ এর। আমার ড্রা”গ ব্যবহার করার দিন, আমার শরীরে খুব কমই শিরা বাকি ছিল মাদক আক্রান্ত হওয়ার থেকে। আমার চোখের সামনে আমার বন্ধুদের মরতে দেখেছি… এখন আমি প্রায় 15 বছর ধরে পরিষ্কার এবং শান্ত, আমি ভাবছি কিভাবে আমি এই নরকের গর্ত থেকে বেঁচে গেলাম ??

অলৌকিক ঘটনা সত্যিই ঘটে. আমি বিশ্বাস করি।’ তাঁর এই ফাইট দেখে অনেক নেটিজেন তাঁর অদম্য ইচ্ছাশক্তির প্রশংসা করেছেন। জানিয়েছেন তাদের জীবনের গল্পও। বাংলার ইন্ডাস্ট্রির একাধিক চেনা মুখেরা তাঁর এই লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। তাঁর জন্য গর্বিত তাঁরা এমন কথাও বলেছেন অনেকে।