সিনেমাতে যেমন একজন হিরো এবং একজন ভিলেন থাকে তেমনি বাস্তব জীবনেও সিনেমার মতোই হিরো এবং ভিলেন থাকে। সিনেমাতে দেখা যায় কিভাবে, হিরোরা এসে বিপদে পড়া অসহায় মানুষদের বাঁচায়। স্বাভাবিকভাবেই বাস্তব জীবনে আমরা এই হিরো এবং ভিলেনের ব্যাপারটা খুব একটা পরিস্কার ভাবে বুঝে উঠতে পারিনা। তবে গত বছরে করোনার মতো মহামারী সময়ই বোঝা গেছে যে দেশের আসল হিরো কে? সত্যি কথা করোনার মতো ভিলেন আসার জন্য আমরা দেশের আসল হিরোকে খুঁজে পেয়েছি।
বাস্তব জীবনের এই হিরো সিনেমার সাথেও যুক্ত, তবে তাকে কখনোই দেখা যায়নি কোন সিনেমাতে হিরোর রোল করতে। তাতে সবসময় দেখা গেছে ভিলেনের চরিত্রে অভিনয় করতে, করোনার সময়ে তিনি যেভাবে অসহায় মানুষগুলোর পাশে থেকে সাহায্য করে গেছেন, তার পরে তাকে ভিলেনের চরিত্রে দেখার মত মানসিকতা দেশের অনেক মানুষেরই আর নেই।
গত বছরে করোনার সময়ে যখন অনেক পরিযায়ী শ্রমিক আটকে পড়েছিল দেশের বিভিন্ন জায়গাতে, সেই সময় তিনি সম্পূর্ণ নিজের খরচায় সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। শুধু তাই নয় তিনি তারপরের থেকে অসহায় মানুষদের পাশে যেভাবে থেকে গেছেন তারপর তাকে ঈশ্বরের দূত ছাড়া আর কোন কিছুই বলা সম্ভব হয়ে ওঠেনা।
View this post on Instagram
মহান মানুষটির নাম হলো সোনু সুদ, যদিও আর বলার অপেক্ষা নিশ্চয়ই থাকেনা। সিনেমাতে হিরোদের জন্য যেমন অনেকেই পাগল থাকে, তেমনি বাস্তব জীবনের হিরোর জন্য যে পাগল কেউ হতে পারে সেটাই এবার প্রমাণ করে দিল হায়দ্রাবাদের এক যুবক। যুবকের নাম ভেঙ্কটেশ।
ওই যুবকের কাছে সোনু সুদ একজন আদর্শ মানুষ এবং যার জন্যই তিনি পায়ে হেঁটে হায়দ্রাবাদ থেকে সরাসরি সোনু সুদের সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছে যান মুম্বাইতে। ভেঙ্কটেশের হাতে একটি বোর্ড এবং সেখান লেখা রয়েছে “দ্যা রিয়েল হিরো সোনু সুদ”। সোনু সুদ ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি শেয়ার করেছেন এবং যেখানে দেখা যাচ্ছে যে ভেঙ্কটেশের সঙ্গে তিনি রয়েছেন।
ফটোটি শেয়ার করে সোনু লেখেন যে,”ভেঙ্কটেশ আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য পায়ে হেঁটে হায়দ্রাবাদ থেকে মুম্বাইতে এসেছে। সত্যি আমি ভীষণ অবাক হয়ে গেছি।” আরো লেখেন যে, “এইভাবে যেন আর কেউ কষ্ট করে দেখা করতে না আসে। সকল ভক্তদের জন্য আমার অনেক ভালোবাসা রইলো”।