সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মানিক এবার আরো বি’প’দে! বিধায়কের বি’রু’দ্ধে মুখ খুললেন খোদ পরীক্ষক

নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। বিশেষ করে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পর থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে।। দুর্নীতি মামলায় বিভিন্ন ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

২০১৬ সালের প্যানেল থেকে এক ধাক্কায় ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তারা সকলেই প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকা। জানা গিয়েছে তাদের নেই কোন প্রশিক্ষণ। আর চাকরি বাতিলের পর থেকেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করছে বিভিন্ন মহল থেকে।

তারই মধ্যে এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন এক প্রাক্তন শিক্ষক তথা বর্তমানে ঔষধ ব্যবসায়ী। তিনি একসময় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউর দায়িত্বে ছিলেন তার নাম নিত্যানন্দ পাল। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছেন ১৯৮৬ সালে চাকরিতে তিনি যোগদান করেন।

২০১২ সালে তিনি স্বেচ্ছায় অবসর নেন। তৃণমূলের শিক্ষক সেলের দার্জিলিং জেলার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। যেহেতু তিনি প্রাক্তন শিক্ষক ছিলেন তাই তাকে ইন্টারভিউ নেওয়ার দায়িত্বে রাখা হয়। তিনি দাবি করেন তার ওপরে যে ৬২ জনের ইন্টারভিউ নেওয়ার ভার ছিল তাদের কারোর প্রশিক্ষণ ছিল না।

আরো খবর: আ’ছ’ড়ে পড়লো ভ’য়’ঙ্ক’র ঘূর্ণিঝড় “মোকা”, বাংলাদেশের উপকূলে ২০০ কিমি বে’গে ঝ’ড়

অথচ তখন প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক ছিল। এমনকি প্রশিক্ষণের সময় অ্যাপটিটিউড টেস্টের চক ডাস্টার ব্লাকবোর্ড কিছু ছিল না। তিন মিনিটে ইন্টারভিউ হয়ে গিয়েছিল। তিনি আরো বলেন সেদিন ইন্টারভিউ হয়েছিল সেই জেলাতেই পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ছিলেন।

সবার কাছ থেকে কয়েকটা চিরকুট নিয়ে যান। সেই কাগজ জমা পরার কথা ছিল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে। অথচ মানিকবাবু আগে থেকেই সেই চিরকুট নিয়ে গিয়েছিলেন। এমনকি চাকরি বিক্রি করতেন নানান অবৈধ উপায়। নিত্যানন্দ বাবু আরো বলেন, যদি তদন্তকারী সংস্থা তাকে ডাকে তিনি সব রকম ভাবে সহায়তা করবেন।