ছাপোষা মধ্যবিত্ত পরিবারে যেমনটা হয় আর কি! অভাবের সংসার। সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে দিনের শেষ প্রহর পর্যন্ত নানান কাজে ক্লান্ত না হয়ে সংসারের গিন্নীর ছুটে চলা। কারণ স্বামী এসব ব্যাপারে একেবারে উদাসীন। সংসারের গিন্নীই হয়ে ওঠে দশভূজা। জলের ছিটে দিয়ে ছেলেকে ঘুম থেকে তোলা থেকে শুরু করে স্বামীর ব্রেকফাস্ট সবটাই নিজের হাতে সামলানো। আর শুধু কি তাই! আবার নিজে তৈরি হয়েই উপার্জনের জন্য বাইরে বের হওয়া– এ তাঁর নিত্যদিনের ঘটনা। ঠিক যেন নিজের বা পাশের বাড়ির চেনা মানুষটি!
শ্রীময়ী, সর্বজয়া এবং সহচরীর পর জি বাংলার পর্দায় আবার আসতে চলেছে এক মধ্যবয়স্কা বিবাহিত মহিলার জীবন যুদ্ধের কাহিনী। নতুন বছরে নতুন নতুন চমক। বছর শুরুর সাথে সাথে নতুন নতুন ধারাবাহিকের যেন ঢল নেমেছে প্রত্যেক চ্যানেলে। কোনো চ্যানেলই পিছিয়ে নেই। এ বলে আমায় দেখ, তো ও বলে আমায় দেখ। এইবার আরও একটি নতুন ধারাবাহিকের প্রথম প্রোমো প্রকাশ্যে এল। জি বাংলার পর্দায় আসতে চলেছে নতুন ধারাবাহিক ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’। ‘পিলু’র পর জি বাংলার পরবর্তী নিবেদন ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’। এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই ছোট পর্দায় প্রায় সাড়ে চার বছর পর কামব্যাক করছেন অতি জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। এই ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্র অর্থাৎ লক্ষ্মীর চরিত্রে অভিনয়ে তাঁকে দেখা যাবে।
https://www.facebook.com/watch/?v=365954082008420
ধারাবাহিকের লক্ষ্মী তিনিই। মধ্যবয়সী এক মহিলা ওরফে লক্ষ্মীই এই ছবির প্রোটাগনিস্ট। প্রোমোতে দেখানো হচ্ছে খুব সাদামাটা জীবন যাপন এক মধ্যবয়সী বিবাহিত মহিলার। যার নাম লক্ষ্মী। সকালে ঘুম থেকে ওঠামাত্র শুরু হয়ে যায় তার ছুটে চলা। লক্ষ্মীর দুই পরিবার। একদিকে স্বামী পুত্র নিয়ে গড়ে ওঠা পরিবারের সব দায়িত্ব তার কাঁধে, অন্যদিকে আবার ২৮নং মতিবাবু লেন, বীরনগর এই ঠিকানায় লক্ষ্মী ভান্ডার নামে তার একটি মুদিখানার দোকান রয়েছে। বাড়ির সব কাজ একা হাতে সামলায়, সকলের দিকে সমান খেয়াল রাখে লক্ষ্মী। কিন্তু তার ভালো লাগা, মন্দ লাগার দিকে কারোর কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই।
হ্যাঁ সেই জন্য অবশ্য তার অভিমান আছে, তবে সবটাই নীরব। কারণ তার সরব অভিমানে কারোর কিছু যায় আসে না। এত বছরের সংসার জীবনে এই কথাটা সে ঢের বুঝেছে। সকালে স্নান সেরে ছাদে জামা কাপড় মেলা থেকে শুরু করে জলের ছিটে দিয়ে ছেলেকে ঘুম থেকে টেনে তোলা সব কাজই লক্ষ্মী করে একা হাতে। আবার অন্যদিকে স্বামীকে নিজের হাতে জলখাবারও বানিয়ে দেয়। কিন্তু তার স্বামীর তার দিকে তাকানোর সময় নেই।গড়পড়তা মধ্যবিত্ত মানুষ যার কাছে মধ্যবয়সে স্ত্রীর রূপের প্রশংসা নেহাতই বিলাসিতা। স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক খারাপ নয়। বাড়ির সব কাজ সামলে সে ছোটে দোকানে।