মালদা,১৩ সেপ্টেম্বর : বাবার ঘারে মেয়েকে খুনের অভিযোগ চাপানোর অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী বাবা। সোমবার সকালে গাজোল থানার বলরামপুর এলাকায় ঘটে ঘটনাটি।
জানা গিয়েছে, মেয়ের মৃত্যুর পর থানা থেকে মেয়ের বাবাকে চাপ দেওয়া হয় তারাই তাদের মেয়েকে মেরে ফেলেছে। বারবার থানা থেকে বাবার উপর চাপ সৃষ্টি করায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরেন গৃহকর্তা। এই বদনাম মেনে নিতে পারেনি তিনি। সোমবার বাড়ির কাছে বাগানের একটি গাছে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন অসহায় বাবা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ব্যক্তির নাম নিরঞ্জন বর্মন। গত দুই মাস আগে তার মেয়ে পূজা বর্মন মারা গিয়েছিল।
অভিযোগ মেয়ের মৃত্যুর পেছনে বাবাকে দায়ী করে পুলিশ। এই অপমান সহ্য না করতে পেরে আত্মঘাতী হয় বাবা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গাজোল থানার বলরামপুর এলাকায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। পরিবারের লোকজনদের দাবি এই মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী গাজোল থানার পুলিশ।
পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ অস্বীকার করেন জেলা পুলিশ সুপার অলক রাজোরিয়া। তিনি বলেন গত দুই মাস আগে পূজা দাস নামে এক নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল তার বাড়ি থেকে। প্রথমে তার বাবা-মা ময়নাতদন্ত করতে বাধা দেন। পুলিশ সুমোমোটো অভিযোগ দায়ের করে। সেইমতো চলছিল তদন্ত। হঠাৎ করে মেয়েটির বাবার আত্মহত্যা করেছে। কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা তদন্ত শুরু হয়েছে।