সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ডুয়ার্সের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে গ’ড়ে ওঠা সব রিসোর্ট-হোটেল ভে’ঙে ফেলতে হ’বে

এবার ডুয়ার্সে হোটেল–রিসর্ট র র্দেশ দিল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। উওরবঙ্গগামী ট্রেনের টিকিট মিলছে না। হোটেল-রিসর্ট সব ‘হাউসফুল’। শুধু পাহাড় নয়, ডুয়ার্সেও এখন পর্যটনের ভরা মরসুম। আর সেই সময়ই এল দুঃসংবাদ।

বক্সা সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বন্ধ হতে চলেছে বেআইনিভাবে চলা সব হোটেল, রিসর্ট, রেস্তরাঁ ও পর্যটন কেন্দ্র। সেটাও আগামী দু’মাসের মধ্যেই। সেগুলি ভেঙে ফেলারই নির্দেশ দিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। ডুয়ার্সের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বেআইনি হোটেল, রিসর্ট, রেস্তরাঁর রমরমার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

পরিবেশবিদদের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে এবার এব্যাপারে কড়া অবস্থান নিল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। গত ৩০ মে এক নির্দেশে তার সাফ জানিয়েছে, বক্সা জাতীয় উদ্যানের এক কিলোমিটারের মধ্যে গজিয়ে ওঠা যাবতীয় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ঝাঁপ ফেলাতে হবে।

আরো পড়ুন: হোম লোনের EMI নি’য়ে বড়ো খবর, জেনে নিন বি’শ’দে

সরকারি পর্যটন কেন্দ্র পর্যন্ত রাখা যাবে না। সেগুলি সরকারি প্রশিক্ষণের কাজে লাগানো যেতে পারে। অন্যথায় ভেঙে ফেলতে হবে। লৈতি নদীর ১০০ মিটারের মধ্যে চলা স্টোন ক্র্যাশারও বন্ধ করতে বলা হয়েছে।

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বিস্মিত ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। তাদের অভিমত, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অনুমোদনের তোয়াক্কা না করেই ব্যাঙের ছাতার মতো এগুলি গজিয়ে উঠেছে।

সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলি সরেজমিনে পরিদর্শনের পরই উত্তরবঙ্গের নদী ও অরণ্যাঞ্চল নিয়ে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ আনেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। মহানন্দা, জয়ন্তী, মেচি, মালের মতো নদীগুলির বুক থেকে কীভাবে আইনের তোয়াক্কা না করে পাথর তুলে নিয়ে গিয়ে ব্যবসা হচ্ছে, পরিবেশে ভয়ঙ্কর দূষণ ঘটানো হচ্ছে—সেই সব চোখে আঙুল দিয়ে দেখান।

একইসঙ্গে সংরক্ষিত অরণ্যাঞ্চলের মধ্যে ও আশেপাশে বেআইনি পর্যটন ব্যবসার রমরমা কারবার নিয়েও সরব হন তিনি। অভিযোগ ওঠে, অরণ্যের যে অংশকে ‘কোর এরিয়া’ বলা হয়, সেখানেও হোটেল, রেস্তরাঁ বানিয়ে ফেলেছে বেসরকারি সংস্থা। নদীর পাড়ে চলছে খাটাল, শুয়োরের খোঁয়াড়। যথেচ্ছ প্লাস্টিক, আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নদীগুলিতে।

এর জেরে ট্রাইব্যুনাল রাজ্যের মুখ্যসচিবের বক্তব্য তলব করে। পরে ২০১৭ সালে জয়ন্তীতে রাজ্য পর্যটন দপ্তরের লজ ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। বেশ কিছু বেআইনি নির্মাণ ভাঙা হয় ২০২১ সালেও।