সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এই একটি ভুল ক্লি’কে গা’য়ে’ব হয়ে যা’বে সব টা’কা! জেনে নিন অবশ্যই

করোনাকালে একটানা লকডাউনের কারণে জেরবার সাধারণ মানুষ। সায়েন্স এবং টেকনোলজি দিনে দিনে যত উন্নত হচ্ছে তত অনলাইন প্রতারণার ঘটনা ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে চলেছে। চারিদিকে শুরু হয়েছে হ্যাকারদের অত্যাচার। বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ডেটা থেকে হ্যাকাররা হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা, আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষের সারাজীবনের সঞ্চয়টুকুও। পিএফ অ্যাকাউন্ট এবার হ্যাকারদের টার্গেটে।

সূত্রের খবর, পিএফ অ্যাকাউন্টের মতো হুবহু দেখতে একটা ফেক ওয়েবসাইটেই ভুঁয়ো ফাঁদ পেতেছে তারা। যদি ভাল মতোন খেয়াল না করা যায় তাহলে দুটো ওয়েবসাইটের পার্থক্য খুঁজে বের করা সত্যিই সমস্যার। আর না বুঝে ভুলবশত যদি একবার ফেক অ্যাকাউন্টে ক্লিক করে ফেলেন তাহলেই সব শেষ। মুহুর্তের মধ্যে পুরো অ্যাকাউন্ট খালি হয়ে যেতে পারে।

ইতিমধ্যেই এমন প্রতারণার ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে। এই ঘটনার পর থেকেই শ্রমমন্ত্রক এর তরফে সকল গ্রাহকদের সতর্ক হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন সোশ্যালে । নিজের কাজ করার আগে সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হ্যাকাররা বিভিন্ন কৌশলে নিজেদের ফাঁদ পেতেছে। এসএমএস, ওয়েবসাইট এর মাধ্যমেই তারা টাকা চুরি করছেন। এবার আধার, ব্যাঙ্ক ডিটেলস, ইউএএনের মতো ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে তারা জালিয়াতি শুরু করেছে।

ইপিএফে হ্যাকারদের পারফরমেন্সে রীতিমতো হতবাক হয়ে যাচ্ছে সরকারি দফতরগুলিও। যেহেতু লকডাউনে অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সব কাজই হচ্ছে অনলাইনে, সেহেতু এই সুযোগকেই কাজে লাগাচ্ছে হ্যাকাররা। হ্যাকিং এর মাধ্যমে সমস্ত টাকা নিমেষে লুট করে নিচ্ছে। সকল গ্রাহকই করোনার মধ্যে অনলাইনে পিএফ-এর কাজ সেরে নিচ্ছেন। পিএফ ছাড়াও টাকা তোলা থেকে প্রশাসনিক কাজকর্ম সবকিছুই হচ্ছে এখন অনলাইনে। তাই সাবধানতা অবলম্বন না করলে যে কোনো মুহূর্তে হতে পারেন চরম বিপদের মুখোমুখি।