সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কোথায় পিছিয়ে! ভেলোরের রো’গী’দে’র বিল রাজ্যের সব বেসরকারি হাসপাতালে পা’ঠা’বে স্বাস্থ্য কমিশন

“দেখে খামতি বুঝুন” ভেলোরের বিল রাজ্যের সব বেসরকারি হাসপাতালে পাঠাচ্ছে স্বাস্থ্য কমিশন।রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন ভেলোরের হাসপাতালের বিলের প্রতিলিপি রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে পাঠাতে চলেছে। অসুখ জটিল হলে রাজ্য থেকে ভেলোরে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। তবে কেন? তার উত্তর রয়েছে খৃষ্ট্রান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিলে। রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মাত্রাতিরিক্ত বিলের অভিযোগের শুনানিতে এই পর্যবেক্ষণই করলেন। সুলভ চিকিৎসা বোঝাতে ওই বিলের প্রতিলিপি পাঠানো হচ্ছে শহরের বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে।

গত ১৭ জানুয়ারি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন বারাকপুরের বাসিন্দা ৪৭ বছরের বিকাশচন্দ্র মণ্ডল। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিকাশকে বারাসতের একটি নামি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৪ ঘণ্টায় বিল হয় ১৭ হাজার ৫০০ টাকা। এরপর কলকাতার বাইপাসের ধারে আর একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। সেখানে শুরুতে পরিবারকে জানানো হয়, রোগীর অবস্থা তেমন গুরুতর নয়। যদিও পরে পা বাদ দেওয়ার আশঙ্কার কথা জানায় হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। বিল হয় ৪ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকার।

তবে ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাফাই, রোগীর খাওয়াদাওয়া বাবদই খরচ হয়েছে ১ লক্ষেরও বেশি। এরপর বন্ডে সই করে বিকাশচন্দ্র মণ্ডলকে ছাড়িয়ে নেন পরিজনরা। ভেলোরের খৃষ্ট্রান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। মাত্র ১৯ দিনের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠেন বিকাশ। পা তো বাদ দিতে হয়ইনি, উল্টে মাত্র ১ লক্ষ ১৯ হাজার টাকাতেই মিলেছে সম্পূর্ণ চিকিৎসা। ফিরে এসে ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এসট্যাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশনে অভিযোগ জানায় বিকাশের পরিবার।

রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন ওই বিলের প্রতিলিপিই রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে পাঠাতে চলেছে। স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন “আমাদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে বড় সংখ্যক রোগী দাক্ষিণাত্যে যান চিকিৎসা করাতে। ভালো ডাক্তার, উন্নত পরিষেবা এ রাজ্যে থাকা সত্ত্বেও কেন যাবেন? তার উত্তর মিলবে বিলে। খৃষ্ট্রান মেডিক্যাল কলেজের বিলের প্রতিলিপি সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে পাঠানো হবে। তারা বিলটা দেখে বুঝুক কোথায় খামতি আছে। সেই ভাবে সংশোধন করুক।”