সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

২৪ হাজার পর সাইবেরিয়ার বরফের নি’চ থেকে বেঁ’চে উঠলো “ডেলয়েড রটিফার” নামের অণুজী’ব

গোটা পৃথিবী রহস্যময় এই পৃথিবীর রহস্য খুঁজে বের করা মোটেও সহজ কাজ নয়। নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা। মাটির গহীন অন্ধকারে পাওয়া গিয়েছে এমন এক জিনিস যাকে নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন রাশিয়ার কিছু বিজ্ঞানীরা। গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে হিমাঙ্কের নিচে থাকা তাপমাত্রায় বেঁচে থাকতে পারে ডেলোয়েড রটিফা।

এটি হলো একপ্রকার ক্ষুদ্র প্রাণী। গবেষণার ফলে তাকে নিয়ে নানান রকম তথ্য সামনে এসেছে। হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায় বহাল তবিয়তে রয়েছে তারা। রাশিয়ার উত্তরে ইয়াকুতিয়া নামে একটি জায়গায় গবেষণা করেন বিজ্ঞানীরা সেখানে আলাজিয়া নদীর মাটি থেকে খোঁজ পাওয়া গিয়েছে এই বিরল প্রাণীর।

এদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য যে কোন প্রতিকূল পরিবেশে এরা খাপ খাইয়ে নিতে পারে। মাইনাস কুড়ি ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তাদের সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল ওই ভয়ংকর ঠান্ডায় তারা বেঁচে ছিল। সাইবেরিয়ার ১১ ফুট নিচে গভীর বরফের মধ্যেও দিব্যি বেঁচে ছিল তারা। সেখানেই তাদের নিদর্শন পাওয়া যায়।

আরো খবর: SBI গ্রাহকদের Account থেকে টা’কা কা’টা হচ্ছে! কিসের টা’কা এটি?

এমনকি তাদের সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে নেমাটোড এবং রাউন্ড ওয়ার্ম। বরফের ৩.৫ মিটার তলায় তাদের জীবন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। গবেষণা বলছে ডেলয়েডের বয়স ২৩৯৬০ থেকে ২৪ হাজার ৮৮৫ বছরের মধ্যে। তাদের দেহের আকার অত্যন্ত ক্ষুদ্র কিন্তু ভীষণ জটিল প্রাণী তারা।

আসলে এটি হলো এক প্রকার বহু কোষী প্রাণী তাদের দেহের আকার কয়েক মাইক্রোমিটার। এদের দেহে রয়েছে মস্তিষ্ক মুখমণ্ডল পাকস্থলী এমনকি মাংসপেশি। আদ্র পরিবেশে তাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। যেকোনো জলজ পরিবেশে তারা বেঁচে থাকতে পারে।

এছাড়া গাছের ডালেও তাদের ঝুলে থাকতে দেখা যায়। এদের কোষের ভিতর কোন ডিএনএ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে নিজেরাই তা সারিয়ে ফেলতে পারে। অর্থাৎ নিজেদের রোগ প্রতিরোধ এরা নিজেরাই করতে পারে। এমনই কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে তাদের শরীরে।

অ”যৌ”ন জ”ন”ন প্রক্রিয়ায় তারা নিজেদের বংশবৃদ্ধি করতে সক্ষম। শুনলে অবাক হবেন তাদের পাঠানো হয়েছে মহাকাশেও সেখানকার পরিবেশের সঙ্গেও নিজেদের অভিযোজিত করতে সক্ষম হয়েছে তারা।