আফ্রিকার এক মাছির ভয়ে কাপছে গোটা পাহাড়, ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় মাছির উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। নাইরোবি ফ্লাই নামে একটি মাছির উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই, এই মাছির কামড়ে আক্রান্ত হয়েছে দার্জিলিংয়ের বহু মানুষ।
সিকিমেও ১০০ জনের মতো আক্রান্ত হয়েছে এই মাছির কামড়ে। ইতিমধ্যেই মাছির কামড়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে মানুষ, লেবংয়ের এক ব্যাক্তি জানিয়েছে তিনি নাকি সেই মাছি দেখতে পেয়েছে।
দার্জিলিঙে ও এক ব্যক্তি মাছির কামড় খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাই ইতিমধ্যেই সবাইকে সতর্কতা বার্তা দেওয়া হয়েছে। সবাই যেন মশারি ব্যবহার করে, ফুলহাতা জামা পরে।
আরো পড়ুন: নিজের দল তৃণমূলকেই আনফলো করলেন সাংসদ মহুয়া
আসলে এই মাছির কামড়ে মানুষের দেহের চামড়ার অনেকটাই ক্ষতি হয়। কারণ মাছি কামড় দেওয়ার পর ক্যান্থারাইডিন বের হয়। যা চামড়ার সংস্পর্শে এসে ফোসকা পরে যায়।
তবে এখানে কিন্তু শেষ নয়, এই মাছের বিষের পরিমাণ যদি বেশি হয় তাহলে কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা ও থাকে, তাছাড়া চোখে বিষ লাগলে অন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ও আছে।
এখন এই মাছি থেকে বাঁচার উপায় কি?
প্রথমেই মনে রাখতে হবে মাছির সাথে যেন কোনোভাবেই সংস্পর্শ না হয় দেহের। সেই কারণেই মশারি টাঙিয়ে শুতে হবে। ফুলহাতা জামা পড়তে হবে।
লাইটের নিচে বসা যাবে না, মাছি কামড়ালে সরাসরি চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে।
নাইরোবি ফ্লাই গায়ে বসলে তাকে তাড়িয়ে দিতে হবে, গায়ের সাথে পিষে ফেলা যাবে না।
সূর্যাস্তের এক ঘণ্টা আগেই দরজা জানালা বন্ধ করতে হবে।
আরো পড়ুন: আ’র্থি’ক সংকটের প্রধান কারণ হ’লো ঘরের এই জিনিসগুলো, এখনই সরিয়ে নিন
ঘরের আলো যত সম্ভব বন্ধ রাখতে হবে। জানালায় মশারির জাল টাঙাতে হবে।
আলমারিতে ন্যাপথলিন ব্যবহার করতে হবে।
ঘরে এলাকায় বিশেষ করে ভিজে জায়গায় বেগন স্প্রে ছড়াতে হবে।