সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মুড়ি খে’য়ে’ই অলিম্পিকে সোনা জ’য়ে’র স্ব’প্ন দেখছেন বাংলার তরুণী

ভারতের দীপা কর্মকার এর পর অলিম্পিক জিমন্যাস্টে দ্বিতীয় নাম রয়েছে প্রণতির। একসময় মুড়ি খেয়ে প্র্যাকটিস করতেন। আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে বড় হয়েছিলেন নায়েক পরিবারের এই মেজো মেয়ে। স্বপ্ন দেখেছিলেন অলিম্পিকসে খেলা। প্রণতির কথায় ‘অলিম্পিকস কি বুঝতাম না।’আমার কোচ মিনারা বেগম বলেছিলেন কেউ যখন প্রশ্ন করবে যে বড় হয়ে কি হবি? তখন বলবি অলিম্পিকসে খেলবো। সেই কথা বলতে বলতে এই স্বপ্ন বুকে নিয়ে অনেকটা পথ পেরিয়ে এলাম।

সিনিয়ার পর্যায়ে খেলতে এসে বুঝতে পারলাম কতটা কঠিন অলিম্পিকে যোগ্যতা পাওয়া। পিংলা মাঠ থেকে শুরু প্রণতি অলিম্পিকসের যাত্রা। তারপর জেলাস্তরে এর পর সুযোগ পান রাজ্যস্তরে। রাজ্য স্তরের পর তিনি কলকাতায় এসে পৌঁছায় কিন্তু এখানে কোন হোস্টেল না পাওয়ায় তাকে থাকতে হয় ভাড়া বাড়িতে। কিন্তু ভাড়া বাড়ির খরচা চালানো তার পরিবারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না বলে স্টেডিয়াম এর সাথে লাগানো একটি বাড়িতে প্রনতির তিনমাস থাকার জন্য সেই বাড়ির লোক কে অনুরোধ করেন তার বাবা। সেখানে ঘর মোছার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হতো প্রনতিকে সাথে প্র্যাকটিস করতেন।

এরপর সেই কথা তার কোচ অর্থাৎ মিনারা বেগম এখানেই তিনি তার বাড়ীতে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। শিক্ষা নিয়ে বছর খানেক থাকার পরে জাতীয় স্তরের সোনা অর্জন করেন প্রণতি। প্র্যাকটিসের পর সবাই যখন ডিম কলা এইসব জাতীয় পুষ্টিকর খাবার খেতো তখন প্রণতি শুকনো মুড়ি খেয়ে থাকতেন। এই ধরনের ছোট ছোট ঘটনাগুলি তার জেদকে আরো বাড়িয়ে তোলে। তারা এন্ড জীবনের লড়াই বহু নারীর অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটি খুব সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসে নানা প্রতিকুলতা কে দূরে সরিয়ে কিভাবে সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া যায় তার প্রধান উদাহরণ হল প্রনতি।