সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এক তারকার জন্যই বি’য়ে ভে’ঙে’ছে! এখন কোথায় কিভাবে দিন কা’ট’ছে সোহেল খানের স্ত্রীর?

সীমা সাজদেকে মনে পড়ে, ১৯৭৬ সালের ৮ই মার্চ দিল্লিতে জন্ম। বাবা মা ভাই বোন নিয়ে বসবাস করতেন দিল্লিতেই। সীমার বাবা হলেন একটি বিনোদন সংস্থার ডিরেক্টর। ছোট থেকেই সীমার ফ্যাশন ডিজাইনের প্রতি ভালো লাগা ছিল। পরবর্তীকালে তিনি তা নিয়ে পড়াশোনা করেন এবং পড়াশোনা শেষ করে ক্যারিয়ারের জন্য দিল্লি ছেড়ে পাড়ি দেন মুম্বাইয়ে। তবে তার সঙ্গে বলিউডের যোগ সূত্র ছিল গভীর কারণ সীমার কাকা হলেন চাংকি পান্ডে যিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় কমেডিয়ান অভিনেতা।

মুম্বাইয়ে এসে তিনি তার কাকার বাড়িতেই ওঠেন এবং কাকার সঙ্গে বিভিন্ন বলিউডের পার্টিতে কস্টিউম ডিজাইনিং সংক্রান্ত কাজের খোঁজ করতে থাকেন। সীমার মুম্বাইয়ে আসা শুধুমাত্র তাঁর ক্যারিয়ারের উন্নতি ঘটেছিল তা নয় তাঁর জীবনেও তার ভালোবাসার মানুষের আগমন ঘটিয়েছিল।

চাংকি পান্ডে এবং ভাবনার এংগেজমেন্ট অনুষ্ঠানেই দেখা হয় সালমান খানের ভাই সোহেল খানের সঙ্গে সীমা সাজদের। প্রথম আলাপেই সীমার প্রেমে পড়ে যান সোহেল। ধীরে ধীরে সে আলাপচারিতা ভালো বন্ধুত্বে পরিণত হয় এবং তা সম্পর্ক রূপ পায়।

আরো খবর: রাতের বেলা যদি বিড়াল কাঁ’দে তাহলে কি হয়? কেনই বা কাঁ’দে?

পরবর্তীকালে অবশ্য খান পরিবারের সদস্যরা এই সম্পর্কের বিরুদ্ধে ছিলেন কারণ তারা চাইতেন না সোহেলের জীবনসঙ্গিনী ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির কারুর সঙ্গে হোক। তবে শেষ পর্যন্ত তারা বাড়ির অমতে পালিয়ে যান। পরবর্তীকালে বাড়ির নানান অশান্তির জটকাটিয়ে পরিবারের সদস্যরা সোহেলের সাথে সীমার বিয়ে দেন।

দাম্পত্য জীবনে দুই পুত্র সন্তানেরও জন্ম হয়। বলিউডের শ্রেষ্ঠ জুটির তকমা পেয়েছিলেন সোহেল এবং সীমা কিন্তু পরবর্তীকালে তাদের সম্পর্কের টানা পড়ে নিয়ে গুঞ্জন ওঠে। সোহেল ও হুমা কুরেশিকে নিয়ে নানান গুঞ্জন শোনা যায় এবং পরবর্তীকালে সীমা এবং সোহেলের সম্পর্কে যে ফাটল ধরে তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

তা নিয়ে নানান সময় কথা বলতে শোনা যায় সীমাকে কিন্তু সকলেই হতবাক ২৪ বছরের দাম্পত্য জীবনও কিভাবে ভেঙে যেতে পারে। দুজনেই নিজেদের ক্যারিয়ারে সফল হলেও ব্যক্তিগত জীবনে আদতে এক ব্যর্থ মানুষ মাত্র।