আমরা যারা টিভি বা পেপারে প্রতিদিন নতুন নতুন আবিষ্কার, বিরল প্রজতি উদ্ধার থেকে শুরু করে বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চারের গল্প শুনি আমরা অবাক হই। কিন্তু আমরা সেই সাহস দেখাতে পারি না বা কল্পনাও করতে পারি না তারা কত কষ্ট করে আমাদের কাছে না জানা বিষয় গুলি তুলে ধরে। আজকের প্রতিবেদনে একজন ফটোগ্রাফারের কথা বলবো যে কত কষ্ট সহ্য করে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন এক বিরল প্রজাতির তুষার চিতা।
এই তুষার চিতাটির ছবি তোলার জন্য তাঁকেপ্রায় ১৬৫.৭ কিমি পথ ব্যাকপ্যাক নিয়ে ট্রেকিং করতে হয়েছে৷ তবেই সে তুষারচিতার ছবি লেন্সবন্দি করতে পেরেছেন। এই ফটোগ্রাফার হলেন আমেরিকার আলোকচিত্রী কিট্টিয়া পওলোস্কি৷ আদিগন্ত বরফসাদা হিমালয়ের চূড়া, বিপজ্জনক খাদের পাশে ধরা দিল দুর্লভ সেই শ্বাপদ৷
View this post on Instagram
সামাজিক মাধ্যমে বাজিমাত করেছে তুষারচিতার ছবি৷ নেপালের খুম্বু হিমবাহের ‘ফ্যান্টম অ্যালি’-তে বরফে মোড়া চূড়ায় ধরা দিয়েছে তুষারচিতা৷ তার ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে কিট্টিয়া লিখেছেন ‘‘বিশ্বের কঠিনতম শ্বাপদ-তুষারচিতা৷’’ মাউন্ট এভারেস্ট এবং মাউন্ট পুমোরির ছায়ায়৷ ক্যাপশনে জানান এভারেস্ট বেস ক্যাম্পের কাছে গোরখশেপে তিনি তুষারচিতার ছবি তুলতে পেরেছেন, ১৮ হাজার ফিট উচ্চতায়৷
তার এই জার্নি মোটেই সহজ ছিল না সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর এটি শ্রেষ্ট উপহার এটাও বলেন সে। কিট্টিয়ার কথায় ‘‘বিশ্বের জনবিরলতম অংশে, শ্বাসকষ্টে প্রায় দমবন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো বিপজ্জনক খাড়াই পাড়ি দিয়ে, শৃঙ্গ পাড়ি দিয়ে, শীতল মরু পেরিয়ে পাওয়া এই ছবিগুলি ছিল কঠিনতম এবং আমার সেরা পুরস্কার৷’’
View this post on Instagram
আর এই তুষার চিতার ছবি দেখে অবাক নেটিজেন মহল। বাহবাতে ভরিয়ে দিচ্ছে সকলে কিট্টিকে। শুধু তাই নয় আলোকচিত্রী কিট্টিয়ার তোলা ছবি এখন অ্যানিম্যাল প্ল্যানেট, নেপালের মার্কিন দূতাবাস-সহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন নামী প্রতিষ্ঠান তাঁর ছবি শেয়ার করেছেন বলে জানা গেছে।
View this post on Instagram