সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ফাঁ’সি’দে’ও’য়া ব্ল’কের বিধান’নগরে এক পু’লি’শ ক’র্মী’র ঝু’ল’ন্ত মৃ’ত’দে’হ উ’দ্ধা’র ঘি’রে চা’ঞ্চ’ল্য

ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগরে এক পুলিশ কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য

শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগরে এক পুলিশ কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল গোটা এলাকায়। মৃতের নাম নাজিমুল হাসান(৩৫)। সে হেমতাবাদের কাশিমপুর এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের আইবিতে এইসআই পদে রায়গঞ্জের কসবায় এলাউ অফিসে কর্মরত ছিল।

জানা গিয়েছে যে ওই পুলিশ কর্মী সোমবার তার বাইকের কাগজপত্র তুলতে বিধাননগরে আসে। এরপর মঙ্গলবার রাতে বিধাননগরে বন্ধুর ভাড়া বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করে একই সঙ্গে ঘুমায়। এবং গভীর রাতে যখন ওই বন্ধু বাথরুম করতে উঠে তখন দেখতে পান যে ঘরের ভেতরে নেই। এবং ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকানো অবস্থায় রয়েছে। এরপর বহুবার ডাকাডাকি করে কিন্তু কোন সাড়া শব্দ না মেলায়। ঘরের জানালা দিয়ে ভাড়া বাড়ির লোকজনকে ডাকেন। এরপর ভাড়া বাড়ির লোকজন বাইরে বেরিয়ে আসে। এবং দরজা ভেঙে ভিতরে দেখতে পান যে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মৃতদেহ। এর পরেই তরীঘরী বিধাননগর থানায় খবরদেয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিধাননগর থানার পুলিশ। এবং পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ ম্যাডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। যদিও মৃতের জেঠাতো দাদা সাকিল হাসান বলেন যে আজকে সকালে খবর পেলাম ভাই আত্মহত্যা করেছে। এই খবর পেয়ে এলাম। আমাদের বিশ্বাস আমার ভাই কখনও আত্মহত্যা করতে পারে না। এই মৃত্যুর তদন্ত করা উচিত। আমার ভাই পুলিশ বিভাগেই কর্মরত। আর একি ঘরে ছিল একজন আত্মহত্যা করল আর অপরজন জানালো না এইটা কিভাবে হয়। আমরা উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত চাই।

অপরদিকে এই বিষয়ে ওই ভাড়া বাড়ির মালিক আশুতোষ মল্লিক বলেন যে গতকাল রাতে আমার ছেলেকে আমাদের বাড়ির ভারাটিয়া টঙ্কা রায় ফোন করে বলেন যে বাইরে থেকে দরজা আটকানো রয়েছে। আর অনেক ক্ষন ধরেই তার দাদাকে ডাকছে কোন সাড়া শব্দ পাচ্ছেন না। এর পরেই আমার ছেলে গিয়েও অনেক ক্ষন ডাকে তাও কোন উত্তর মেলেনি। এবং পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাই। যদিও গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে বিধাননগর থানার পুলিশ।