সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এই ৫ টি সিনেমাকে না করে দিয়ে নিজের কেরিয়ার নিজেই শে’ষ করেছেন ববি দেওল

বলিউড সুপারস্টার হতে না পারার জন্য নিজেই দায়ী ছিলেন বলিউড সুপারস্টার ধর্মেন্দ্রর ছোট ছেলে ববি দেওল। তাঁর নেওয়া কিছু ভুল সিদ্ধান্তই তাঁর ক্যারিয়ারের গ্রাফকে নষ্ট করে দিয়েছিল। তিনি ১৯৯৫ সালে বরসাত ছবি দিয়ে নিজের ফিল্ম ক্যারিয়ারে শুরু করেছিলেন এবং তাতে তিনি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডও পান যেখানে নবাগত অভিনেতা হিসেবে পুরস্কৃত হন। যে ছবিগুলো তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন সেগুলি পরবর্তীকালে প্রত্যেকটাই বলিউডের একটি মাইলস্টোন ক্রিয়েট করেছে আসুন জানব সেইসব অজানা কাহিনী :

জব উই মেট : এই ছবিতে অভিনয় করতে দেখেছি আমরা কারিনা কাপুর ও শাহিদ কাপুরকে। অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সিনেমা কিন্তু এই সিনেমাতে নায়কের চরিত্রের অভিনয় করার কথা ছিল ববি দেওলের। কোনো কারণবশত তিনি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন তারপরে শাহিদ কাপুরকে এই চরিত্রের জন্য ভাবা হয়।

করণ অর্জুন : অত্যন্ত মাইলস্টোন সৃষ্টি করেছিল এই সিনেমা বলিউড ইন্ডাস্ট্রির জন্য। আমরা এই সিনেমাতে শাহরুখ সালমান এবং রাখি গুলজারকে দেখতে পাই। কিন্তু শাহরুখ সালমানের জায়গায় প্রথমে ভাবা হয়েছিল সানি দেওল ও ববি দেওলের কথা। এই ছবির প্রস্তাব দুই ভাই ফিরিয়ে দেওয়ায় পড়ে তা শাহরুখ এবং সলমানকে নেয়া হয়েছিল।

মা’ত্র দেড় মিনিট এই ব্যায়াম করলেই আ’য়ু বাড়বে, দা’বি ক’রা হলো সমীক্ষায়

৩৬ চায়না টাউন : এই সিনেমাতেও আমরা দেখি শাহিদ কাপুরের পাশাপাশি কারিনা কাপুরকেও। অথচ এই ছবির প্রথম প্রস্তাব যায় ববি দেওলের কাছেই। কারণ এই চরিত্রে তাঁকে ভেবেই চিত্রনাট্য লেখা হয়েছিল পরে তিনি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে শাহিদ কাপুরকে মুখ্য চরিত্রের জন্য ভাবা হয়। পরবর্তীকালে ছবিটি অত্যন্ত হিট হয়।

ইয়ে জবানি হে দিবানি : অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সিনেমা যেখানে অভিনয় করেছেন দীপিকা পাডুকোন রনবীর কাপুর আদিত্য রায় কাপুর এবং কল্কি কেকলার মতো শিল্পীরা। অথচ আদিত্যের চরিত্রে প্রথম ভাবা হয়েছিল ববি দেওলের কথাই তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর সেই অফার যায় আদিত্য রায় কাপুরের কাছে।

যুবা : এই ছবিটাতে আমরা দেখতে পাই এক ঝাঁক তারকা যেমন বিবেক ওবরয় অভিষেক বচ্চন অজয় দেবগনকে। তেমনি নায়িকাদের মধ্যে কারিনা কাপুর এষা দেওল ও রানী মুখার্জিকেও। প্রথমেই ছবির প্রস্তাব দিয়েছিল ববি দেওলের কাছে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করলে পরে সেই চরিত্রটি দেওয়া হয় অজয় দেবগনকে।

জীবনের কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ববি দেওলকে আফশোস করেই কাটাতে হবে। চাইলে তিনিও তাঁর বাবা এবং দাদার মতনই একজন সফল অভিনেতা হতে পারতেন বলেই মনে করা হয়।