সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

শুকরের শাবককে মা’রা’য় খামার মালিককে মেরে মাং’স খে’য়ে বদলা নি’লো হিং’স্র শুকরের দল

আমেরিকার বাসিন্দা ওরেগনের কৃষক টেরি ভ্যান্স গার্নার কিছু বড় আকারের শূকরের চাষ শুরু করেছিলেন। তিনি কখনও কোনও অযত্ন হতে দেননি পোষ্যদের। কিন্তু তাঁর পালন করা শূকররাই এক দিন তাঁকে খেয়ে ফেলে।

টেরি ভ্যান্স গার্নার সেই ভাগ্যবান সৈন্যদের এক জন যিনি ভিয়েতনাম প্রাণ হাতে ফিরতে পেরেছিলেন। ফিরেই তিনি বাহিনী থেকে পদত্যাগ করেন। তবে যুদ্ধ থেকে ফিরেও ভাগ্যের মার থেকে বাঁচতে পারেননি টেরি।

টেরির স্ত্রী জানান, এক দিন সন্ধ্যায় শূকরগুলিকে খেতে দিতে খোঁয়াড়ে গিয়েছিলেন টেরি। তবে তিনি আর ফিরে আসেননি। পর দিন টেরির স্ত্রী তন্নতন্ন করে খুঁজেও তাঁর খোঁজ পাননি।

আরো পড়ুন: এবার যোগীর ন’জ’রে মাদ্রাসা, নি’য়’ম পরিবর্তন ক’র’তে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী

টেরির স্ত্রী কিছু সময় পর শূকরের খোঁয়াড়ের দিকে স্বামীকে খুঁজতে গিয়ে এক ভয়ানক দৃশ্য দেখেন। তিনি দেখেন, ওই খোঁয়াড়ের মেঝেতে মানুষের হাড়ের ছোট টুকরো এবং মানুষের দাঁত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে।

হাড় আর রক্ত পড়ে থাকলেও ওই মৃতদেহের সমস্ত মাংস কে বা কারা যেন খেয়ে নিয়েছে। ভয়ঙ্কর সেই দৃশ্য দেখে মূর্ছা যান টেরির স্ত্রী। হুঁশ ফিরে এলে পুলিশের দ্বারস্থ হন টেরির স্ত্রী। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করে।

তদন্ত শেষে পুলিশ জানায়, শূকরদের খেতে দেওয়ার আগেই হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মেঝেতে পড়ে যান টেরি। এর পর তিনি তাঁরই পোষা শূকরদেরই খাবারে পরিণত হন। মৃত্যুর সময় টেরির বয়স ছিল ৬৯। তাই তাঁর হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাকে একেবারেই উড়িয়ে দেননি টেরি।

পুলিশ জানিয়েছে, টেরির মৃতদেহ এমন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়, যা পরীক্ষা করে টেরি কোনও শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন কি না, তা বোঝার কোনও উপায় ছিল না।

টেরিকে কেউ এ রকম নৃশংস ভাবে খুন করেছিল কি না, তা জানতেও তদন্ত চালিয়েছিল পুলিশ। তবে অনেক চেষ্টা করেও কোনও কূলকিনারা করতে পারেনি। যখন টেরির ছিন্নবিচ্ছিন্ন মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়, তখন তাঁর পালিত শূকরদের মুখে রক্ত লেগে ছিল।