এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা। বিয়ের পর সর্বস্ব লুঠের ছক ফাঁস হয়ে যেতেই গ্রেফতার হলেন নববধূ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের দেয়ালদহ গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জিত পালের বিবাহের জন্যে বেশ কিছুদিন ধরেই পরিবারের সদস্যরা মেয়ে খুঁজছিলেন।
এমতাবস্থায়, এক ঘটক চলতি মাসের ২০ তারিখে রাখি বিশ্বাস নামের ওই মহিলাকে নিয়ে আসেন সঞ্জিতের বাড়িতে। পাশাপাশি, তাঁর সঙ্গে ছিলেন শান্তি বিশ্বাস নামের আরও এক মহিলা।
সেখানেই ওই পাত্রী সম্পর্কে ঘটক জানিয়েছিলেন যে, ওই মেয়েটির মা নেই এবং বাবা মানসিক রোগী। এমতাবস্থায়, মেয়েটির দুর্দশার কথা শুনে সকলেই পছন্দ করে নেন তাঁকে।
আরো পড়ুন: আন্তর্জাতিক স্ত’রে বাড়বে ভারতীয় টা’কা’র দা’ম! বি’রা’ট অ’ফা’র দিলো রাশিয়া
শুধু তাই নয়, ওই দিনই বিয়ের ব্যবস্থা করেন পরিবারের সদস্যরা। এক্কেবারে সমস্ত নিয়ম মেনেই বিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের। গত রবিবার প্রতিবেশীদের নিমন্ত্রণ করে বৌভাতের আয়োজনও করা হয়।
যদিও, বিয়ের পরেই ওই নববধূর আচরণ সন্দেহজনক মনে হয় সকলের কাছেই। এমনকি, হঠাৎ করেই গত বৃহস্পতিবার তিনি চাকদায় ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার কথা বলেন।
আরো পড়ুন: মে মাসের শুরুতেই ব্যাংক ব’ন্ধ! দেখে ছুটির তা’লি’কা
শুধু তাই নয়, বিয়ের সমস্ত গয়নাও সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। আর তাতেই ক্রমশ স্পষ্ট হতে থাকে সবকিছু।এমতাবস্থায়, সঞ্জিত জানতে পারেন যে, এর আগেও রাখির একাধিকবার বিয়ে হয়েছে। এদিকে, এই কথা জানতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই আকাশ থেকে পড়েন সকলে।
এই প্রসঙ্গে সঞ্জিত জানান, রাখির অন্য একটা ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। এছাড়াও, এর আগেও একাধিক জায়গায় ওর বিয়ে হয়েছে। অসহায় মেয়ে ভেবে ওকে বিয়ে করেছিলাম। কিন্তু, এখন সে আমাদের ঠকিয়েছে।