“শুধু একটি বেলপাতাতেই তুষ্ট” – ভক্তিভরে আরাধনা করলে সহজেই প্রসন্ন হন ভগবান শিব। আলাদা করে কোনো আড়ম্বরের প্রয়োজন পড়ে না দেবাদিদেব মহাদেবকে তুষ্ট করার জন্য। ভারত হিন্দু ধর্মের পীঠস্থান। আর হিন্দুধর্মের অন্যতম প্রধান দেবতা দেবাদিদেব মহাদেব। বছরভর নানা তিথিতে মহাদেবের আরাধনায় মেতে ওঠেন অগণিত ভক্ত। সব শিবভক্তই সারাবছর অপেক্ষা করে থাকেন মহাশিবরাত্রির ব্রত পালন করবেন বলে। চলতি বছরে ১ মার্চ, মঙ্গলবার মহাশিবরাত্রি।
ভক্তির মাধ্যমে শিবকে তুষ্ট করার জন্য তাই মহাশিবরাত্রিতে নানা বিধি-আচার মেনেই শিবের পুজো করেন ভক্তরা। আর শুধু মহাদেব নয় এই বিশেষ দিনে শিব-পার্বতী উভয়েরই আরাধনা করা হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী বিশেষ কিছু রাশির জাতকদের উপর ভগবান শিবের বিশেষ আশীর্বাদ থাকে। চলুন দেরী না করে দেখে নেওয়া যাক কারা সেই ভাগ্যবান।
মেষ রাশি: কথিত রয়েছে মহাদেবের অত্যন্ত প্রিয় এই রাশি। মেষ রাশির অধিপতি গ্রহ মঙ্গল। জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে, মেষ রাশির জাতকদের উপর সবসময় ভগবান শিবের কৃপাবর্ষণ করেন। তাই মেষ রাশির জাতকরা ভগবান শিবকে প্রসন্ন করার জন্য প্রতি সোমবার শিবলিঙ্গে জল ঢেলে প্রার্থনা করতে পারেন যে কোনো কাজে আশানুরূপ ফল পাবেন।
মকর রাশি: জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, মকর রাশি মহাদেবের খুব প্রিয়। এই রাশির অধিপতি গ্রহ শনি। শনিদেবতা এবং মহাদেব দুজনেরই কৃপাদৃষ্টি পেয়ে থাকেন এই রাশির জাতকেরা। শিবলিঙ্গে জলাভিষেকের সঙ্গে বেলপাতাও অর্পণ করলে এই রাশির জাতকেরা লাভবান হতে পারেন। এছাড়া শিবপুজো করার সময় মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করলে ভক্তের সব মনস্কামনা পূরণ হয় বলে মনে করা হয়।
কুম্ভ রাশি: ভগবান শিবের কুম্ভ রাশির জাতকদের উপর কৃপা থাকে। মকর রাশির মতো এই রাশিরও অধিপতি গ্রহ শনি। শাস্ত্র মতে, শ্রাবণ মাসে কুম্ভ রাশির জাতকদের শিবপুজো করা উচিত। আর পুজোর সময় ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র অবশ্যই জপ করা উচিত। সেই সাথে দানকার্য করা উচিত।