মানবসভ্যতায় ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার লাগাম দিতে গত ৫০ বছর ধরে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জন্মনিরোধের বিভিন্ন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। নারীরাও সেই পদ্ধতি অবলম্বন করে বিভিন্নভাবে জন্মনিরোধকের পথ বেছে নিয়েছে।
এবার সেই বিজ্ঞানীদেরই প্রচেষ্টায় আরও একটি নতুন পদ্ধতি আবিষ্কৃত হল। এখানে নারীকে আর আলাদাভাবে সংরক্ষণ করে রেখে খেতে হবে না কোনো জন্মনিরোধক বড়ি।
এই পদ্ধতিতে নারীর কানের দুল, হাতঘড়ি, আংটি অথবা গলার হারে জন্মনিরোধ পিল বা হরমোন থাকবে। নারীরা তার সৌন্দর্য প্রকাশের জন্য গয়না পরার সাথে সাথে তার জন্মনিরোধ পরিকল্পনাটিও সফল করতে পারবেন এই প্রক্রিয়ায়।
সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে করা একটি গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে চিকিৎসাশাস্ত্র–বিষয়ক নেদারল্যান্ডসের গবেষণা সাময়িকী জার্নাল অব কন্ট্রোলড রিলিজে। সেখানে জানা গেছে, এই প্রক্রিয়ায় গয়নায় ছোট্ট কোনো স্থানে হরমোন সংরক্ষিত থাকবে।
আর সেটি ত্বকে নিজে নিজেই শোষিত হয়ে রক্তের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে যাবে। আপাতত শূকর ও ইঁদুরের শরীরে এর সফল পরীক্ষা করা হয়েছে।
পরীক্ষা করার জন্য শূকর ও ইঁদুরের কানে জন্মনিরোধ হরমোনসমৃদ্ধ দুল পরানো হয়েছিল। তাদের ত্বকসংলগ্ন ছোট্ট একটি অংশ দিয়ে শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে জন্মনিরোধক হরমোন ঢুকেছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, মানুষের শরীরে এখনও এই পরীক্ষা করা হয়নি।