মাত্র কিছুদিনের ব্যাবধানে ফের দুর্ঘটনা ঘটল পুরীর সমুদ্রে। আবারও স্নান করতে গিয়ে গিয়ে সমুদ্রে তলিয়ে গেলেন দুই বাঙালি পর্যটক। পরে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত ওই দুই ব্যাক্তির নাম অজয় দাস(৩০) ও অরিন্দম দাস(৩২)। তারা হুগলির শ্রীরামপুরের বঙ্গলক্ষী বাই লেনের বাসিন্দা।
পুরীতে ঘুরতে গেলে সমুদ্রে গা ভাসানো খুবই সাধারণ একটি ব্যাপার। কিন্তু এই সমুদ্রে স্নান করাই কাল হয়ে দাঁড়ালো। সমুদ্রে স্নান করতে নেমে অজয় ও অরিন্দম দু’বন্ধু তলিয়ে যায়। গত ১ মে,পুরীতে সমুদ্রের জলে স্নান করতে গিয়ে একসাথে তলিয়ে যান বাবা – ছেলে। মৃত বাবার নাম রঞ্জন দাস( ৫২) ও তাঁর ছেলে ঋষভ দাস (১৬) । এরা দুজনেই হাওড়ার শিবপুর এলাকার বাসিন্দা।
হাওড়া থেকে ছয় বন্ধু একসঙ্গে বুধবার পুরীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তারা বৃহস্পতিবার সকালে পুরীর হোটেলে পৌঁছন। এরপর ছয় বন্ধু মিলে সমুদ্রে স্নান করতে নামে। কিছুক্ষণ পরে চার বন্ধু সমুদ্র থেকে উঠে আসেন,কিন্তু বাকি দুইজন অরিন্দম ও অজয়ের কোন খোঁজ পাওয়া যায় না।
আরো খবর: প্যান কা’র্ডে থাকা ১০ ডিজিটের অর্থ কি? কি ত’থ্য লু’কি’য়ে আছে?
এরপরই ওড়িশা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তারা ওই দুই পর্যটকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। এর কিছুক্ষণ পরে ওই দুই পর্যটকের দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত অরিন্দম একটি ইন্সিওরেন্স কোম্পানির এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন এবং অজয় পেশায় ছিল টোটোচালক।
অজয়ের দাদা সুভাষ দাস বলেন, “আমার ভাই বেড়াতে খুবই ভালোবাসতো। বন্ধুদের সাথে মাঝেমধ্যেই বেড়িয়ে পড়ত। এর আগেও অনেকবার পুরী গেছিলো । সমুদ্র খুব ভালোবাসত। কিন্তু সেই সমুদ্রই ওকে কেড়ে নিল।”