আমরা যে প্যান কার্ড ব্যবহার করে থাকি, সেই প্যান কার্ডে কিন্তু রয়েছে ১০ ডিজিটের একটি নম্বর, আলফানিউমেরিক এই নম্বর যেটা আয়কর বিভাগের দ্বারা নির্বাচন করা হয়ে থাকে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে এই নম্বর কিভাবে ঠিক করা হয়ে থাকে? সেটা কি নম্বরের ভিত্তিতে, যে যার কাগজপত্র আগে জমা পরছে তার নম্বর সেভাবে তৈরী করা হচ্ছে? না অন্য কোনো পন্থা রয়েছে?
পার্মানেন্ট একাউন্ট নম্বরের দ্বারা এক ব্যাক্তির সমস্ত লেনদেনের সম্পর্কে জানতে পারে আয়কর দফতর। এই লেনদেন বলতে সেই ব্যাক্তির টিডি এস বাঁ আয়কর রিটার্ণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন লেনদেন এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আসলে মানুষ যাতে কর ফাকি দিতে না পারে, তাছাড়া সেই সমস্ত কিছুর মূল্যায়ন ও করের চাহিদা থেকে শুরু করে ইত্যাদি সমস্ত কিছুই জানতে নজর রাখতে এই প্যান কার্ড চালু করা হয়েছে। যার কারণেই একজন করদাতার সব তথ্য সহজেই পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।
আরো খবর: দেশজুড়ে অর্ধেকের বেশি লেনদেন হবে UPI-র মা’ধ্য’মে! তবে কি ক্যাশ টা’কা’র কারবার মুছে যাবে?
তাই মাথায় রাখতে হবে এই ১০ ডিজিটের নম্বর কেবল পর্যায়ক্রমিক হওয়াটা সম্ভব নয়। ১০ ডিজিটের এই নম্বর অক্ষর ও সংখ্যার মিশ্রণে তৈরী হয়েছে। যার ফলে প্রথম ৫ টি যে অক্ষর রয়েছে সেগুলো বর্ণ আর তার পরের ৪ টি অক্ষর হল সংখ্যা ও শেষের অক্ষর হল বর্ণ।
মনে রাখবেন প্যান কার্ডের মধ্যে AAA থেকে ZZZ একটি ক্রমিক। চতুর্থ অক্ষরটি ধারকের প্রকৃতি বলে দেয়। A হল ব্যাক্তির সংগঠন, B হল ব্যাক্তির সংস্থা, C হল কোম্পানি, F হল ফার্ম, G হল সরকার, H হল হিন্দু পরিবার। এদিকে পঞ্চমটি হল সেই ব্যাক্তির পদবীর প্রথম অক্ষর। এই সমস্ত কিছু মিলিয়েই ১০ ডিজিটের নম্বরটি তৈরী করা হয়।