৬ ফেব্রুয়ারি সপ্তাহের একেবারে শুরুতেই ভয়াবহ ভূমিকম্পে নড়ে উঠেছিল তুরস্ক এবং সিরিয়া। ৭.৮ মাত্রা ভূমিকম্প এবং তারপর একের পর এক আফটার শক। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল দুটি দেশসহ তার আশপাশের এলাকা। উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছে ভারত আমেরিকা জার্মানি সহ বিভিন্ন দেশ টানা ১২ দিন ধরে চলছে উদ্ধার কাজ।
কাউকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা যাচ্ছে আবার কেউ হয়তো পরিবারসহ মারা গিয়েছেন। ভূমিকম্পের ১২ দিন পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হলো ৪৫ বছরের এক ব্যক্তিকে। নানান রকম প্রতিবন্ধকতার মধ্যে জারি রয়েছে উদ্ধারকাজ। প্রথম কয়েক দিনে প্রচুর মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার হয়েছেন।
এক সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পর উদ্ধারকারী দল জানিয়ে দিয়েছে তারা আর ধ্বংসস্তূপ করবেন না কারণ এখন কারোর বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। ৪১ হাজার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তার মধ্যে ঘটেছে মিরাকল। হাকান নামের এক ব্যক্তিকে ভূমিকম্পের ২৭৮ ঘন্টা পরে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
আরো খবর: পড়াশোনা করলেই কি চাকরি হয়ে যা’বে? পড়ুয়াদের চপ ভাঁ’জা’র শেখালেন প্রধান শিক্ষক
ভেঙ্গে পড়া বাড়ির নিচে চাপা পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়েছে দেখা গিয়েছে তাকে স্ট্রেচারে করে বের করে আনা হচ্ছে। তার শরীরের উপর রয়েছে একটি থার্মাল জ্যাকেট।
তাকে অ্যাম্বুলেন্সে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে যদিও তার মুখ দেখা যায়নি বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যে ১৫ বছরের তিনজন কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এখনো ২০০ জায়গায় উদ্ধার কাজ জারি রয়েছে। দিন কয়েক আগে এক দুই মাসের শিশুকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। অভিশাপের মাঝেও আশার আলো দেখাচ্ছেন তারা।