কালনার মহিষ মরদিনী উচ্চ বিদ্যালয় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আনন্দমেলা। এই মেলা নিয়ে শুরু হয়েছে যত বিতর্ক। স্কুলের অনুষ্ঠানে ছাত্রদের শনিবার হওয়ার পাঠ দিতে গিয়ে প্রধান শিক্ষক সকলকে চপ ভাজার পরামর্শ দিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বাহবা পাওয়ার জন্যই যে এমন কাজ করেছেন প্রধান শিক্ষক তা বলাই বাহুল্য।
এই মেলা নিয়ে প্রধান শিক্ষককে বলতে শোনা গেছে, পড়াশোনা করে ১০০% চাকরি হবে না এই রাজ্যে। অন্য কিছু আগে থেকেই ভাবা দরকার যেমন চপ শিল্প। প্রধান শিক্ষকের এই কথা শুনেই শুরু হয়ে গেল বিতর্ক। কালনার এই স্কুলে প্রতিবছর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে ভালো রেজাল্ট করে ছাত্ররা।
মহকুমা এলাকাতেও ভালো নাম রয়েছে ওই স্কুলের। স্কুলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়ে থাকলেও এ বছরের অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল শান্তিনিকেতনের আনন্দমেলার আদলে মেলা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি ছিলেন ছাত্র থেকে অভিভাবক সকলেই।
আরো খবর: বোনের বি’য়ে’র কা’র্ডে ভাইয়ের বি’শে’ষ ডায়লগবাজি! যে’তে হ’লো শ্রীঘরে
ওই মেলায় যোগদান দিতে গিয়েই স্কুলের প্রধান শিক্ষক দাবি করেন, পড়াশোনা করলেই ১০০ শতাংশ চাকরি মানুষ পায় না। মানুষের উচিত পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্র জীবন থেকে কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত হয়ে যাওয়া। আগে থেকে যদি কোন কাজে ব্যস্ত হয়ে যেতে পারো তাহলে চাকরির ভরসা করতে হয় না আর।
প্রধান শিক্ষক আরো বলেছেন, স্কুলের সামনে যে ফুচকা বিক্রেতা ফুচকা বিক্রি করে সেও কিন্তু কয়েক লক্ষ টাকা উপার্জন করে। এরপরেই চপ শিল্পের কথা তুলে ধরে তিনি সকলকেই সব বাজার কথা পরামর্শ দিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতারা প্রশ্ন করেছেন, যদি চপ ভাজতে হয় তাহলে কর্মশিক্ষা রয়েছে কি করতে? আসলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে বাহু বা পাওয়ার জন্য এবং নিজের দলের কাছে পরিণত হওয়ার জন্য এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন প্রধান শিক্ষক।