সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আ’ত’ঙ্কে’র অবসান, কুলতলীতে খাঁ’চা’ব’ন্দি বাঘ

অবশেষে জাল বন্দী সেই কুলতলির বাঘ, গত কয়েক দিন থেকে লাগাতার চেষ্টা করা হচ্ছিল তাকে ধরার জন্য কিন্তু কোনো ভাবেই হাতের নাগালে আসছিল না সে। কিন্তু বনদফ তরের অক্লান্ত পরিশ্রমে সফল হয়েছে সেই কার্য। আসলে গত কয়েকদিন থেকেই কুলতলির সেই বাঘ সবার চোখে ফাঁকি দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল চারদিক। মাঝে মাঝেই পাওয়া যাচ্ছিল তার গর্জনের আওয়াজ ও পায়ের ছাপ। সেই পায়ের ছাপের সূত্র ধরেই বনকর্মীরা নদীর চর বরাবর জাল দিয়ে ঘেরাও করে দেয় চারদিক। কিন্তু কোনভাবেই সেই জালে ধরা দেয় না কুলতলির বাঘ। বনকর্মীরা রাতদিন এক করে বাঘ ধরার উদ্দেশ্যেই বনে বনে ঘুরে বেড়ায় এবং বিভিন্ন নতুন নতুন ফাঁদ পাতে, কিন্তু কাজ হয় না কিছুতেই।

এইদিকে গ্রামের মানুষজন বাঘের ভয়ে ঘর থেকে বেরোতে সাহস করে না, তারা সকলে বাঘের আতঙ্কে একেবারে জুবুথুবু।বনকর্মীদের এই দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরেও যখন বাঘ ধরা সম্ভব হয় না,তখন গ্রামের মানুষরা এই বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বনকর্মীদের ওপরে।কারণ যারা গ্রামের দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ তারাই বাঘের আতঙ্কে কোনভাবেই কাজে যেতে পারে না, আর সেই কারণেই আর্থিক অনটনের শিকার হয় তারা। দফায় দফায় নতুন নতুন পদক্ষেপ আলাপ-আলোচনা এবং সেটা কে সাফল্যমন্ডিত করে তোলার প্রচেষ্টা, সবকিছুই ব্যর্থ হয় সেই কুলতলির বাঘের সামনে। কিন্তু কোনভাবেই হাল ছেড়ে দেয় না বন দফতরের কর্মীরা। প্রথমদিকে চকলেট বোম থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম আওয়াজ এর মাধ্যমে বাক্যে প্রকাশ্যে আনার চেষ্টা করে বনকর্মীরা, কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়না।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত বনকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের দ্বারা হাতের নাগালে আসে বাঘ। কিন্তু সেটা কোন খাঁচা কিংবা ফাঁদ পা তার মাধ্যমে নয়। বনদপ্তর এর তরফ থেকে এই নিয়ে স্পষ্ট জানানো হয়, বাঘের পায়ের নিচে কাঁধে দুটি ঘুমের গুলি চালান করা হয়। আর ঠিক তার পরেই একেবারে নিস্তেজ হয়ে পড়ে বাঘটি। ঠিক তার পরেই তাকে খাঁচা বন্দি করা হয়। সাধারণত ঘুমের ওষুধ দেওয়ার পরে পাঁচ দিন রক্ষনাবেক্ষনের মধ্যেই থাকবে বাঘটি। স্বাভাবিকভাবেই শারীরিক কোনো পরিবর্তন হয় কিনা সেই দিকেও নজর রাখবে পশু চিকিৎসকেরা।

তবে এই নিয়ে বন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানায় গত ৬ দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারনেই এমনকি শীতের রাতে তাদের এই অমানুষিক পরিশ্রম শেষপর্যন্ত সফল হয়েছে। গত কয়েকদিন থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার পরেও কোনভাবেই প্রকাশ্যে আনা যাচ্ছিল না সেই কুলতলির বাঘটিকে।শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল ঠান্ডা জল স্প্রে করে বাঘটিকে প্রকাশ্যে আনার। কিন্তু তার আগেই ধরা দিয়েছে সে। ইতিমধ্যেই পশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে। কোন শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে কিনা, বা কোন রকম জখম হয়েছে কিনা তা নিয়ে পরীক্ষা করা হবে তার।