বিশ্বের জনপ্রিয় পর্যটন স্থানগুলির মধ্যে একটি হল ক্রিসমাস আইল্যান্ড। কারণ এই দ্বীপে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ বড় বড় লাল কাঁকড়া রেইনফরেস্ট থেকে বেরিয়ে প্রজনন ও ডিম পাড়ার জন্য সাগরের দিকে আসে। আর এই দ্বীপের লাল কাঁকড়ার আগমন হল পৃথিবীর সবচেয়ে অবিশ্বাস্য প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াগুলির মধ্যে একটি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি একটি ভিডিও শেয়ার হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, রাস্তা ব্লক করে অসংখ্য লাল লাল কাঁকড়া হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে চলেছে। এর পাশাপাশি তারা যাতে সাবধানে রাস্তা ক্রস করতে পারে সেই জন্য সুব্যবস্থাও করা হয়েছে।
অপরূপ সুন্দর এই দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছে ঠিক যেন রাস্তার ওপর দিয়ে লাল সমুদ্র বইছে। ভিডিওটিকে কেন্দ্র করে অসংখ্য লাইক এবং কমেন্টের ছড়াছড়ি। কারণ কাঁকড়াগুলি দেখতেও অত্যন্ত সুন্দর। ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন তাদের “কিউট” বলেছেন। কিছুজন আবার এই লাল কাঁকড়াদের মাইগ্রেশন দেখে বেশ উত্তেজিত।
অন্য এক জন ব্যবহারকারীর কথায়, “নাহ! তারা কেবল নতুন ক্রুস্টি ক্র্যাব অবস্থানগুলি ফ্র্যাঞ্চাইজ করছে। এরই মধ্যে একজন একটি অস্বাভাবিক কমেন্ট করে বসেছেন যে “একটি ধরা কি বেআইনি?” অস্ট্রেলিয়া দক্ষিণ গোলার্ধে হওয়ার কারণে এখানকার ঋতুগুলো উত্তরগোলার্ধ থেকে পুরোপুরি আলাদা। আর তাই কাঁকড়াদের মাইগ্রেশন অক্টোবর, নভেম্বর মাস করে হয়। বর্ষার শুরুতে প্রথম বৃষ্টির ছোঁয়ায় লাল কাঁকড়াদের অ্যানুয়াল মাইগ্রেশন শুরু হয়।
আরো খবর: কর্ণাটকের খনি থে’কে পাওয়া যা’বে ১৭ হাজার কো’টি’র সোনা! কি পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্র?
তবে কখনও কখনও ডিসেম্বর বা জানুয়ারিরতেও এটা হতে পারে বলে জানিয়েছে পার্ক অস্ট্রেলিয়া। এ প্রসঙ্গে জানা গেছে, পুরুষ কাঁকড়ারা প্রথমে প্রজননের উদ্দেশ্যে সাগরের দিকে এগিয়ে যায়। আর তারপর মেয়ে কাঁকড়ারাও এগিয়ে আসে। যদিও এই প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট সময় এবং গতি বিভিন্ন হয় স্থান বিশেষে।
প্রতিটি স্ত্রী কাঁকড়া প্রায় ১০০ হাজার মতো ডিম উৎপাদন করে একটি ব্রুড পাউচে রেখে দেয়। তবে যেহেতু বহু বছর ধরে এই বাচ্চা কাঁকড়ারা বেঁচে থাকতে পারে না তাই এদের মধ্যে খুবই কম সংখ্যক বেঁচে থাকে। কিছু বছরের মধ্যেই সমুদ্র থেকে ডিম্ ফুটে দলে দলে কাঁকড়ার বাচ্চা বেরিয়ে আসে। তাদের সংখ্যাও অনেক বেশি হয়। আর ক্রিসমাস আইল্যান্ডের এই অভূতপূর্ব দৃশ্যের সাক্ষী হওয়ার জন্য সারা বিশ্ব থেকে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ে এই সময়।
View this post on Instagram