রাতের তৃতীয় প্রহরকে সবথেকে বেশি ভয়ঙ্কর বলে বিশ্বাস করা হয় বিশ্বের অধিকাংশ জায়গাতেই। এর পেছনে অবশ্যই যুক্তিসংগত কিছু কারণ আছে। রাত 3 টা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত সময়কে সবথেকে বেশি অশুভ বলে মনে করা হয়। মনে করা হয় এই সময়কালে সবথেকে বেশি মৃত্যু হয় মানুষের। এসময় অশুভ শক্তি সবথেকে বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে বলে বিশ্বাস করেন মানুষ। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা নিস্তেজ হয়ে যায়।
ভোর তিনটে থেকে চারটের মধ্যের সময়েকে সবথেকে বেশি ভয়ঙ্কর বলে মনে করা হয়। অশুভ শক্তির প্রভাব এই সময় সবথেকে শক্তিশালী থাকে। দিনের বেলা তুলনায় ভোর রাত তিনটে থেকে চারটের মধ্যে মানুষের হাঁপানির টান ওঠার সম্ভাবনা 300 গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়। এর প্রধান কারণ রাতের ওই সময় অ্যাড্রিনালিন এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি হরমোন নির্গমন কমে যায় শরীরে।
এর প্রভাবে শ্বাসতন্ত্র হয়ে পড়ে সংকুচিত। দিনের তুলনায় ভোর চারটে নাগাদ রক্তচাপ বৃদ্ধি হয়। তাই ওই সময় সবথেকে বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়। আমেরিকার এক চিকিৎসকের মতে ভোর ছয়টার সময় করটিসল হরমোনের তেজ কমে যায়। ওই সময় রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। রাত নটার সময় রক্ত চাপ অনেকটাই বেড়ে যায়। এই সময় অনেকেরই মৃত্যু হতে পারে।
একটি গবেষণা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে 14 শতাংশ মানুষ নিজের জন্মদিনে মারা যায়। এবার 13% মানুষ বড় কোনো অর্থ পাওয়ার পর মারা যান। বিশিষ্ট চিকিৎসকের মতে দুর্বলতার কারণে ভোরবেলায় মৃত্যুর হার বেড়ে যায় একথা ঠিক নয়। ভোর 6 টা থেকে বেলা বারোটার মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় বলেই মত দিয়েছেন তিনি। রাতে ঘুমের মধ্যে অনেকেরই স্লিপ অ্যাপনিয়া হতে পারে। যার ফলে নিঃশ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গিয়ে আবার চালু হয়। ওই চিকিৎসক এর মতে আসলে রাত্রে মৃত্যুর হার বেশি বলে ব্যবসায়িক স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করেন একদল অসাধু ব্যবসায়ী।