অবশেষে ধূমপান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন শ্রীলেখা মিত্র। শরীরের কিছু কষ্টের কারণে আর ঝুঁকি নিতে রাজি নন অভিনেত্রী। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে তিনি জানিয়েছেন তার শরীরে শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে, বুকে চাপ অনুভব হচ্ছে। এমনকি কথা বলতে গিয়েও কষ্ট হচ্ছে। চিকিৎসকের কাছে গেলে তাকে তো ধূমপান ছাড়ার পরামর্শই দেওয়া হবে। তাই তিনি আগেভাগেই ধূমপান ছেড়ে দিতে চান।
আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে ধূমপান সম্পর্কে বেশ কিছু মজার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন বাড়িতে জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর বাবার কাছে সিগারেট খাওয়ার জন্য তাকে বকুনির পাশাপাশি মারও খেতে হয়েছে। তবুও সিগারেটের প্রতি তার টান কমেনি। বরং পরে বাবাও তার কাছ থেকে সিগারেট চুরি করে খেতেন।
নবম-দশম শ্রেণি থেকে সিগারেট খেয়ে আসছেন শ্রীলেখা। অভিনেত্রী জানিয়েছেন তার বিয়ের পর ফুলশয্যার রাতেও তিনি সিগারেটের অভাবে শ্বশুরমশাইয়ের ঘরে সিগারেট চুরি করতে গিয়েছিলেন।
তিনি আরো জানিয়েছেন, ছোটবেলায় সিগারেট খাওয়ার পর ফুলদানিতে ছাই ফেলতেন। বাবা যেদিন জেনেছিলেন সেদিন মেয়ের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, তার মেয়ে সকলের সামনে দাড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছি এটা দেখে তার মনে হয়েছিলো মেট্রো লাইনের ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করবেন তিনি। তারপরেও অবশ্য মেয়ের সিগারেটপ্রীতি তিনি কমাতে পারেননি। বাবার মৃত্যুর পর অবশেষে সিগারেট ছাড়লো মেয়ে।