পরীমণি- বাংলাদেশের অন্যতম গ্ল্যামারাস হিরোইন তিনি। পরীমণি অবশ্য তাঁর পিতৃদত্ত নাম না, তাঁর আসল নাম শামসুন্নাহার স্মৃতি। খোলামেলা পোশাক, সাহসী মন্তব্য, আকর্ষণীয় আবেদনে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে হয়ে উঠেছিলেন হার্টথ্রব আর নেটিজেনদের আলেচনার মধ্যমণি। লাইমলাইটে আসার জন্য বেছে নিয়েছিলেন রক্ষণশীল সমাজের উল্টো স্রোতে চলা। চলচ্চিত্রে যদিও তেমন আগ্রহী ছিলেন না তিনি।খুব ছোটবেলাতেই হারিয়েছেন বাবা মাকে।হারিয়ে একাকীত্বে ও দারিদ্রে জীবন কেটেছে তাঁর।তারপরই আসে মডেলিং করার সুযোগ।
সেই হাতছানিতেই সাড়া দেন সুন্দরী। যদিও অনিয়ন্ত্রিত উদ্দাম, আবেগ, আর শীর্ষে পৌঁছনোর হাতছানিতে এগিয়ে যেতে যেতে বারবার হোঁচট খেয়েছেন। প্রথম সিনেমা মুক্তির আগেই আরও ২০টি ছবির অফার পেয়ে যান অভিনেত্রী। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলির মধ্যে কয়েকটি হল, ‘নগর মস্তান’, ‘মনজুড়ে তুই’, ‘মহুয়া সুন্দরী’, ‘লভার নম্বর ওয়ান’। মিডিয়ার লেন্স আর ফ্ল্যাশের ঝলকানিতে রাতারাতি তারকা হয়ে যান তিনি।
অবশ্য সংবাদ শিরোনামে আসতে খুব বেশি সময় লাগেনি তাঁর।সোশাল মিডিয়ায় তাঁর পোস্ট, কমেন্ট, ফ্যাশন ইত্যাদি নিয়ে চর্চা ছিল তুঙ্গে, তারই মাঝে নেটমাধ্যমের পর্নসাইটে তাঁর ভিডিও প্রশ্ন তুলেছিল নেটিজেনদের মনে। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠেছে, রটেছে কুৎসা একবার নয়, দুবার নয়, বারবার। তিন তিন বার বিয়ে ভেঙেছে। তবে কি সেরকম বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাননি তিনি? তবে ইতিমধ্যে হঠাৎই প্রশাসনের অনুমতিতে বাংলাদেশের র্যাবের একটি দল পরীমণির বাড়িতে অভিযান চালায়। ঘটনার মোড় ঘোরাতে এ সময় ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন পরীমণি।
লাইভে তিনি বলেন, নিজের বাড়িতে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকটি লোকার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। থানা-পুলিশ, ডিবির কর্মকর্তা ও তাঁর পরিচিতজনদের কাছে ফোন করে তাঁকে বাঁচানোর অনুরোধ করেন। র্যাবের সদস্যরা বারবার পরিচয় দিলেও ভেতর থেকে দরজা প্রথমে খুলতে চাননি তিনি। তবে কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর শেষে দরজা খুলতে বাধ্য হন। ভিতরে ঢুকে র্যাবের সদস্যরা শুরু করেন তল্লাশি। আর তাতেই উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ ওয়াইন, আইস, এলএসডি ও মাদক সেবনের সরঞ্জাম। এসব মাদককান্ডে পরীমণিকে গ্রেপ্তার করা হয়।