বিগত প্রায় কয়েক দিন ধরে খাদ্যদ্রব্যের লাগামছাড়া দাম বৃদ্ধিতে নাজেহাল হয়ে পড়েছিলেন সাধারন মানুষ। বিশেষত ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির ঝাঁজে মধ্যবিত্তের চোখে জল এসে যাওয়ার যোগাড় হচ্ছিল। এমতাবস্থায় স্বস্তির খবর শোনালো কেন্দ্র। ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধিতে লাগাম টানা হয়েছে। শুধু তাই নয় এক ধাক্কায় ২০ শতাংশ কমেছে ভোজ্যতেলের দাম। কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে সম্প্রতি এই সুখবরটি শোনানো হয়েছে। গত মাস থেকেই তেলের দাম কমেছে।
দেশীয় বাজারে চাহিদা ও ঘরোয়া উৎপাদনের ক্ষেত্রে ফারাক থাকার দরুন এতদিন ভোজ্যতেলের দাম লাগামছাড়া ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রক। তবে হাল ফিলে সেই সমস্যা দূর হয়েছে। বিগত এক মাসে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ভোজ্য তেলের দাম ২০ শতাংশের কাছাকাছি কমেছে বলে জানা যাচ্ছে। বুধবার খাদ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হলো, বিদেশের বাজারে তেলের অত্যধিক চাহিদা এবং ভারতে তেল উৎপাদনে ঘাটতি থাকার দরুন এতদিন তেলের দাম এই হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রক এও জানিয়েছে যে প্রতি বছর বিদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে তেল আমদানি করতে হয় ভারতকে। তার উপর আবার করোনার কারণে লকডাউনের জেরে তেলের দাম আরো বেড়েছিল। যে কারণে ক্রেতা এবং বিক্রেতা, দুই তরফেই রাতের ঘুম উড়ে ছিল। বর্তমানে কেন্দ্রের তরফ থেকে যে পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে তা থেকে জানা গেছে গত মে মাসে মুম্বাইতে ১ কেজি পাম তেলের দাম ১৪২ টাকা থেকে কমে এসেছে ১১৫ টাকায়।
সূর্যমুখী বা সাদা তেলের দাম ১৮৮ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১৫৭ টাকা। সোয়া তেলের ১৬২ টাকা থেকে কমে ১৩৮ টাকা হয়েছে। সরষের তেলের দাম ১৭৫ টাকা থেকে ১০ শতাংশ হারে কমে ১৫৭ টাকা হয়েছে। একইভাবে বনস্পতি তেলের দাম ১৫৪ টাকা থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১৪১ টাকায় এবং বাদাম তেলের দাম ছিল ১৯০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১৭৪ টাকা।