সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সুমেরু অঞ্চলে একা-একাই ল’ক’ডা’উ’ন কাটিয়েছেন এই মহিলা, জানালেন ক’ঠি’ন অ’ভি’জ্ঞ’তা’র কথা

ব্যস্ততম জীবনের বাইরে বেরিয়ে, জনবহুল শহর থেকে দূরে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে যেতে মাঝে মাঝে কার না মন চায়? ভ্যালেন্টিনা মিওজোও এ রকমই এক স্বেচ্ছা নির্বাসন চেয়েছিলেন’ নিজের জীবনে। সেই কারণেই তো তিনি নিজেকে আর্কটিক বলয়ের মধ্যে অবস্থিত নরওয়ের একেবারে উত্তরে নিজেকে স্বেচ্ছায় নির্বাসিত করেছিলেন। জনকোলাহল থেকে দূরে গিয়ে একা থেকেছেন। লকডাউন পর্বের অনেকটা সময় তিনি সেখানেই ছিলেন।

ভ্যালেন্টিনা পেশায় একজন গাইড। উত্তর ইতালির বাসিন্দা তিনি। পেশার প্রয়োজনে নিত্যদিন প্রচুর টুরিষ্টকে তিনি গাইড করেছেন। তবে লকডাউনে পর্যটন বন্ধ। তাই আপাতত তার কাজ বন্ধ। কিন্তু তিনি এই লকডাউন পর্বতে নতুন ভাবে বাঁচতে চেয়েছিলেন। যে কারণে গত বছরের ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তিনি একাকী নির্বাসনে ছিলেন।

এই সময় কালে তিনি ব্লগিং শুরু করেন। তখনই তার কাছে সুমেরু অঞ্চলে থাকার জন্য একটি প্রস্তাব আসে। তিনি সেই প্রস্তাবে অনায়াসেই রাজি হয়ে যান। টুরিস্ট গাইড হিসেবে কাজ করার দরুন এ বিষয়ে তার অভিজ্ঞতা আগে থেকেই ছিল। তাই তাকে আর নতুন করে কোনো প্রশিক্ষণ নিতে হয় নি। তার বাসস্থান ইতালির মডেনা থেকে ২৪০০ মাইল উত্তরে অবস্থিত কংসফোর্ডে থাকতে শুরু করেন তিনি।

তিনি যে স্থানে থাকতে শুরু করেছিলেন সেখান থেকে সুপারমার্কেট ২৫ মাইল দূরে, হাসপাতাল ২০০ মাইল দূরে এবং বিমানবন্দরও ২৫ মাইল দূরে অবস্থিত ছিল। শীতকালে সেখানে ৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা বেগে ঝড় বয়ে যায়। সপ্তাহে একদিন বড়জোর দুদিন বাজার করা যেত। রাস্তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত বাড়ির বাইরে বেরোনো যেত না। তবে এই চ্যালেঞ্জ অনায়াসেই পার করেছেন তিনি।