সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

২০০৯ সালের প্রাথমিক নি’য়ো’গে’র বিজ্ঞপ্তি আগামী ২ সপ্তাহের ম’ধ্যে, নি’র্দে’শ হাইকোর্টের

অভিযোগ ছিল ২০১৯ সাল থেকেই সরকারি চাকরি প্রার্থীরা তাদের চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, বৃহস্পতিবার সেই চাকরিপ্রার্থীদের জন্যই এলো নতুন সুখবর। হাই কোর্টের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হল আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই ২০০৯ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি নতুন করে আবার প্রকাশ করতে হবে। উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, মালদা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ২০০৯ সালের চাকুরী প্রার্থীদের ক্ষেত্রেও এই পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতির সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ।

ইতি মধ্যে এই তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষের সঙ্গে ২০০৯ সালের প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার উত্তীর্ণরা কথা বলেছেন। কুনাল ঘোষের দাবি তিনি জানিয়েছেন যে মামলাটি দ্রুত সুনামি হবে এবং বিষয়টিতে রাজ্য সরকার নজর দেবে। চাকুরি প্রার্থীরা কুনাল ঘোষের আশ্বাস পাওয়ার পরেই মঙ্গলবার ধরনা তারা তুলে দেন। তারা ৩৭ দিন ধরে চাকরি পাওয়ার দাবীদের ধরনা দিচ্ছিলেন।

বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতেই চাকুরী প্রার্থীরা কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে। এই মামলাটি করেছিলেন প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার উত্তীর্ণ এক হাজার প্রার্থী আইনজীবী সোমেশ কুমার ঘোষ জানিয়েছেন , ২০০৯ সালে দক্ষিন পরগনায় ১,৮৩৪ শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা ছিল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে লিখিত পরীক্ষা হয়েছিল। পরীক্ষায় কারচুপির অভিযোগ ওঠে।

আরো পড়ুন: বাবা লালুকে নিজের কিডনি উপহার মেয়ে রোহিনীর, দিলেন বি’রা’ট বা’র্তা

এরপরে ২০১১ সালের পরীক্ষা বাতিল্য যার পরে পরীক্ষায় ২০১৪ সালে সেই থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো মেধা তালিকা প্রকাশ হয়নি। উত্তর ২৪ পরগনা, মালদহ, হাওড়া ২০০৯ সালে বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়। বাকি থেকে যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা নিউক্লাব বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষেত্রেও শিক্ষক নিয়োগের জন্য নির্দেশ দেওয়া হল আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

কুনাল ঘোষ ২০০৯ সালে চাকরি প্রার্থীদের সাথে দেখা করে বলেছিলেন,” বাম জমানায় ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হয়েছিল যা নিয়ে জল ঘোলা শুরু হয়। একটি মহল থেকেই এই নিয়োগ পদ্ধতিকে আটকে রাখা হয়েছে। বিকাশ ভট্টাচার্যদের অন্য ক্ষেত্রেও দরদ থেকে থাকলেও এই বিষয়ে কোন দরদ দেখা যাচ্ছে না, কারণ ২০০৯ সালে থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়ম শুরু হয়েছিল।

যেভাবে এদের জিনিসগুলি আটকে রয়েছে সেটা অবশ্যই ঠিক করা প্রয়োজন আমি ওদের পাশে রয়েছি । কথাবার্তা অত্যন্ত ইতিপূর্বক হয়েছে এবং আশা করি যে এই সমস্যা তাড়াতাড়ি মিটবে”।