সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বাজার থেকে উধাও ২০০০ টা’কা’র নোট! তবে কি গোলাপি টা’কা বা’তি’ল হচ্ছে?

৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট ২০১৬ সালে বাতিল হওয়ার পরে গোলাপি রঙের দু’হাজার টাকার নোট চালু হয়েছিল। সরকার দাবি করেছিল, এই নোট জাল করা মুশকিল হবে। তবে জাতীয় অপরাধ পরিসংখ্যান ব্যুরোর দাবি করছে, গত কয়েক বছরে যত জাল নোট ধরা পড়েছে, তার মধ্যে দু’হাজার টাকার জাল নোটের সংখ্যাই বেশি।দু’হাজার টাকার নোট গত কয়েক বছরে ক্রমশই কমেছে। এখন আর তার দেখাই পাওয়া যাচ্ছে না বলা চলে। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক আগেই জানিয়েছে, গত দু’বছর ধরে নতুন করে আর গোলাপি নোট ছাপানো হচ্ছে না। এখন জানা গিয়েছে, বাজার থেকে ওই নোট তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়াও জোর কদমে চলছে।

বাজারে জাল নোটের পরিমাণ বেড়েছে গত কয়েক বছরে। এর বেশির ভাগটাই দু’হাজার টাকার নোট। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নোট বাতিলের ঘোষণা করে দাবি করেছিলেন, এর ফলে দেশ থেকে কালো টাকার সঙ্গে সঙ্গে জাল নোটের সমস্যাও মুছে যাবে। কিন্তু নোট বাতিলের পাঁচ বছর পরে সরকারি পরিসংখ্যানই বলছে, জাল নোটের সংখ্যা মুছে যাওয়া তো দূর, বরং তা বেড়েছে।

তবে প্রতি বছর একটু একটু করে বাড়লেও ২০২০ সালে উদ্ধার হওয়া জাল নোটের সংখ্যা বেড়েছে ১৯০ শতাংশ। ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে প্রতি বছর ৭০ কোটি টাকা মূল্যের জাল নোট বাজারে ঢুকছে। জাতীয় অপরাধ পরিসংখ্যান ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২০ সালে ৯২.১৭ কোটা টাকা মূল্যের জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। এই পরিমাণটা ২০১৯ সালে ছিল ২৫.৩৯ কোটি।

২০১৮ ও ২০১৭ সালে ছিল যথাক্রমে ১৭.৯৫ এবং ২৮.১০ কোটি। ২০১৬ সালে ছিল ১৫.৯২ কোটি। এর বেশিটাই দু’হাজার টাকার নোট বলেও দাবি করা হয়েছে। নোট জাল হওয়া ঠেকাতে দু’হাজার টাকা ধীরে ধীরে বাজার থেকে তুলে নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে গত মার্চ মাসেই জল্পনা উস্কে দেয় অর্থ মন্ত্রক। অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর গত ১৫ মার্চ লোকসভায় জানান, গত দু’বছরে দু’হাজার টাকার নোট ছাপার কোনও বরাত দেওয়া হয়নি। নোট বাতিলের বছরে প্রায় ৩৫৪ কোটি দু’হাজারের নোট ছাপা হয়েছিল। ২০১৮-র মার্চে বাজারে ৩৩৬ কোটি দু’হাজারের নোট ছিল। ২৪৯ কোটিতে নেমে এসেছে২০২১-এর গোড়ায়।