বাঙালি আছে অথচ খাওয়া দাওয়া নেই, পেট-পুজো নেই এমনটা তো হতেই পারে না। বাঙালি ভদ্রলোক সক্কাল সক্কাল বাজারে গিয়ে মনের মত তাজা সবজি, মাছ-মাংস কিনতে খুব ভালোবাসেন। এটি ঠিক যেন স্বর্গ সুখ তার কাছে।
সেসব না হয় হল, তবে সবথেকে বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত রান্নাঘর। সংসারে সুখ সমৃদ্ধি বজায় রাখতে শাস্ত্র অনুযায়ী কাজ করা হয়। সেই শাস্ত্রেই উল্লেখ আছে রান্না ঘরের বাস্তু তন্ত্রের কথা।
বাস্তু মেনে সবসময় রান্নাঘর গোছানো এবং রান্নার কাজে লাগে এমন বাসনপত্রগুলি ব্যবহার করতে হবে। কারণ গৃহস্থের কল্যাণ আর অকল্যাণের অনেকটাই নির্ভর করে রান্নাঘরের ওপর।
আরো পড়ুন: কি অবস্থা, হরিয়ানায় প্রার্থী জি’তে’ছে বলে টুইট করলো কংগ্রেস, শেষে হা’রে’র মু’খ দেখলো দল
আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের জানাতে চলেছি এমন একটি টিপস যা মেনে চলতে পারলে রাহু, কেতু আর শনির কোপ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাসী এমন সকলেই চায় এই তিন দেবতাকে সন্তুষ্ট রাখতে, তা না হলে জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপে নানান সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।
আর যেহেতু মহিলাদের দিনের বেশিরভাগ সময়টাই রান্নাঘরে কাটে তাই এই তিন শক্তির কৃপা দৃষ্টি পাওয়ার জন্য রান্নাঘরে এই সহজ কাজগুলি করা যেতেই পারে। এই তিন শক্তির রোষে পরিবারে নেমে আসতে পারে অমঙ্গলের কালো ছায়া। চলুন তবে দেরী না করে দেখে নেওয়া যাক রান্নাঘরে কী কী কাজ করা উচিত আর কী কী উচিত নয়।
১) কড়াই – যে কড়াইতে রান্না করছেন সেই কড়াই ভুলেও সেই অবস্থায় গ্যাসের ওপর রাখা কখনোই উচিত নয়। এই ভুল অনেকেই করেন। রান্নার পর গ্যাসের ওপর কড়াই রেখে দিলে রাহু আর কেতুর কুদৃষ্টিতে পরিবারের অনেক ক্ষতি হয়। এছাড়াও কড়াই ধোয়ার পর কখনোই তা সোজা করে রাখা ঠিক নয়। কারণ এতে অশুভ শক্তির প্রভাব বাড়তে পারে।
২) তাওয়া – রুটি বা পরোটা করার পর কখনোই গরম তাওয়ায় জল দেওয়া ঠিক নয়। তাওয়া ভালোভাবে ঠান্ডা হওয়ার পর তবেই তাতে জল দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে। গরম তাওয়ায় জল দিলে পরিবারে র ওপর শনিদেবের কুদৃষ্টি বর্ষিত হয়। পরিবারে অর্থনৈতিক অনটনের সৃষ্টি হয়। তাই রুটি বা পরোটা করার পরে রোজ এইভাবেই তাওয়া পরিষ্কার করে রাখুন।
আরো পড়ুন: কাজের ই’চ্ছে থাকলেও হা’তে কো’নো কাজ নেই! আ’ক্ষে’প করছেন রীতা দত্ত চক্রবর্তী
৩) নুন – রান্নার আগে কড়াই বা তাওয়া গরম হলে তাতে একটু নুন ফেলে দিলে রাহু আর কেতু তুষ্ট হন। এক্ষেত্রে কখনোই পরিবারে অর্থের অভাব হয় না।
৪) রুটি – পরিবারের সদস্যদের জন্য যখন রুটি করবেন তখন সবসময় একটি রুটি বেশি করা উচিত। আর সেই রুটি নিজের হাতে গরু বা কাককে খাওয়ালে শনি দেবতার কৃপা সহজে পাওয়া যায়।
রান্নার পর কখনোই তাওয়া ও কড়াই ফেলে রাখা ঠিক নয়। এছাড়া জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী বাইরের লোকের কড়াই, তাওয়া বা হাঁড়ি দেখাটা খুবই অশুভ বলে মনে করা হয়। এমন একটা সময় ছিল যখন বাইরের মানুষের কাছে রান্নাঘর দেখানো হত না।