ছোট্ট শিশুরা ভগবানের সমতুল্য যাদের মনে নেই কোন পাপ, নেই কোনো লোভ, নেই কোনো আকাঙ্খা, সেইজন্যই ছোট্ট শিশুদের ভগবানের জায়গায় বসানো হয়ে থাকে। এই ঘটনার মাধ্যমে বোঝা যেতে পারে যে সমস্ত শিশু ভগবানের জায়গাতে বসার মত যোগ্য নয় কারণ সমাজে এমন এমন ধরনের ঘটনা বাচ্চাদের দ্বারা প্রমাণিত হয় যেগুলি অত্যন্ত ভয়ঙ্কর এবং অমানবিক।
এমন একটি ছোট্ট শিশু যার কারণে আশেপাশের পরিবেশ আতঙ্কে ছিল। যে ছোট বয়সে বাবা মার হাত ধরে একটি শিশু বেড়ে উঠবে সেই বয়সেই তার হাতে রক্তের দাগ লাগলো। বয়স ৮ বছর ভারতের বিহারের মুসাহার গ্রামের বাসিন্দা নাম অমরজিৎ সাদা। মাত্র আট বছর বয়সের মধ্যেই সে তিন জনকে ইতিমধ্যেই খুন করেছে।
শুধুমাত্র খুন করা নয় খুন করে আনন্দে আত্মহারার আনন্দ প্রকাশ করেছে সে। নিজের বোন এবং সাথে দুটো আরো শিশুকে সে খুন করেছে। এইজন্যেই তাকে বলা হয়েছে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ সিরিয়াল কিলার।
জানা গেছে যে ২০০৬ সালে প্রথম সে খুন করেছিল তার চাচাতো বোনকে। সেই সময় অমরজিৎতের বয়স ছিল ৬ বছর, এর পরেই তার খুন করা একটা নেশায় পরিণত হয়। ৮ মাসের একটি ছোট্ট শিশুকে সে খুন করে।
আরো পড়ুন: হানিমুনে শোভন-বৈশাখী, কাশ্মীরে ছুটি কা’টা’চ্ছে’ন বাংলার রোমান্টিক জু’টি
এই গোটা ব্যাপারে অমরজিৎতের কাকা সংবাদমাধ্যমে কে জানায়, অমরজিৎ যে খুন করত সেগুলো তার পরিবার জানত কিন্তু সবাই বাড়ির ঘটনা বলে বাইরে কিছু বলতে চাইনি। তবে অবশেষে ২০০৭ সালে সে তিন নম্বর খুনটি করে। তিন নম্বর খুন করে একটি ছোট্ট ছয় মাসের শিশুকে।
খবর সূত্রে জানা গেছে যে ওই ছয় মাস বয়সের শিশু খুশবুর মা একজন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তিনি যখন স্কুলে চাকরি সূত্রে বেরিয়েছিলেন এবং বাড়িতে শুধুমাত্র খুশবু একা ঘুমাচ্ছিল সেই সময় মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুশবুকে খুন করেছিল এমন কি মাথায় ইট মেরে খুন করেছিল, তার পরে খুশবুকে মাটিতে কবর দিয়েছিল সে একথা অমরজিৎ নিজেই খুশবুর মায়ের কাছে স্বীকার করেছিল।
এরপরে গোটা খবর জানাজানি হওয়ার পর পুলিশ অমরজিৎকে গ্রেপ্তার করেছিল। পুলিশ যখন তাকে নানান প্রশ্ন করছিল সেই সময় সে শুধুমাত্র হাসছিল।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে অমরজিৎ অন্যকে কষ্ট পেতে দেখলে আনন্দ পায় এমনই মানসিক রোগে আক্রান্ত। খুনের দায়ে আপাতত তাকে চিল্ড্রেন হোমে রাখা হয়েছে। বর্তমানে এখন ২৩ বছর বয়সীদের। যদিও এখন সে কোথায় থাকে সে বিষয়ে স্পষ্ট জানা যায়নি।
