ভোট কার্য থেকে শুরু করে যে কোনো জরুরি অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় বিএসএফ জওয়ানদের। কিন্তু তাদের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন প্রশ্ন। সম্প্রতি পাঞ্জাব ফ্রন্টিয়ারের আইজি সোনালী মিশ্রকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, পুলিশের কাজেও কি এবার হস্তক্ষেপ করতে শুরু করে দেবে বিএসএফ? উত্তরে তিনি বলেন, বিএসএফ পুলিশকে সহায়তা করার জন্য এবং শক্তিশালী করার জন্য থাকে। সীমান্ত সংক্রান্ত ব্যাপারে অন্যান্য সুরক্ষা এজেন্সি কেউ সাহায্য করে বিএসএফ।
প্রসঙ্গত জুলাই মাসে পাঞ্জাব ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি হিসেবে নিয়োজিত হওয়ার পর এই প্রথম সাক্ষাৎকার দিলেন তিনি। তিনি বলেন, ১৯৬৬ সালে বিএসএফ তৈরী হওয়ার সময় সীমান্ত থেকে পনেরো কিলোমিটারের মধ্যে যেকোনো সমস্যা হলে তারা দেখত। পাসপোর্ট থেকে শুরু করে কাস্টমস, আর্মস সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনিয়ম আটকানোর জন্য তারা পদক্ষেপ নিতেন।
তবে বর্তমানে বিএসএফের কাজের সীমানা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কিন্তু আইনি দিক থেকে কোন পরিবর্তন করা হয়নি। বিএসএফ কোন পুলিশি এজেন্সি নয়। বিএসএফ কেবলমাত্র পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীকে সহায়তা করে এবং যৌথভাবে কাজ করে।
সূত্র মারফত খবর পাওয়া গেছে, বর্তমানে সীমান্ত এলাকায় ধরনের গতিবিধি সত্যিই একটি আতংকের অন্যতম কারণ। এহেন অবস্থায় আইজির দাবি, চলতি বছরে আমরা এখনো ৩৭০ কেজি মাদক এবং ৫৫ টি অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছি। এখনো পর্যন্ত ৬ জন পাকিস্তানী অনুপ্রবেশকারীদের আমরা শেষ করতে পেরেছি।