সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আম কা’টা’র আ’গে জলে ভি’জি’য়ে রাখবেন কেন? রইলো বৈজ্ঞানিক কারণ

ফলের ত্বকে লেগে থাকে নানা ধরণের রাসায়নিক এবং নোংরা পদার্থ। তাই যে কোনো ফল বা সবজি খাওয়ার আগে সবসময় ধুয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা। আর ফল পাকানো হয় কার্বাইড দিয়ে।

কার্বাইড থেকে শরীরে একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। খিদে পায় না, বমি বমি ভাব তৈরি হয়, শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর কোভিডের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে চিকিৎসকরা বাজার থেকে কিনে আনা সবজি ভালো করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে তবেই রান্না করার পরামর্শ দিচ্ছিলেন।

কোভিডের সংক্রমণের কিছু টা কমলেও অনেকেই সেই অভ্যাস কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তবে ফল, সবজি ধুয়ে খাওয়ার অভ্যাস তো মানুষের আজকের নয়, সেই ঠাকুমা দিদিমাদের সময় থেকে চলে আসছে। আর এই অভ্যাস স্বাস্থ্য করও বটে। তবে জানেন কি কেন আমি খাওয়ার আগে তা জলে বেশ খানিকটা সময় ভিজিয়ে রাখতে হয়!

আরো পড়ুন: KGF-2 এবার OTT-তে, কত টাকার চু’ক্তি হ’লো? শুনলে অ’বা’ক হবেন

ফাইটিক অ্যাসিড থেকে মুক্তি :

ফাইটিক অ্যাসিড অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্ট হিসেবে পরিচিত। এই অ্যাসিড আমাদের শরীরে আয়রন জিঙ্ক ক্যালশিয়াম ইত্যাদি খনিজ শোষণে বাধা দেয় বলে শরীরে খনিজের ঘাটতি দেখা যায়।

পুষ্টিবিদদের কথায়, বিভিন্ন ফল সবজি বাদামের পাশাপাশি আমেও ফাইটিক অ্যাসিড নামে পরিচিত একটি প্রাকৃতিক অণু থাকে। তাই আমকে যদি কয়েক ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রেখে খাওয়া হয় তবে তা শরীরে তাপ উৎপাদন কারী অতিরিক্ত ফাইটিক অ্যাসিড দূর করতে সাহায্য করে।

রোগ থেকে মুক্তি :

এইভাবে আম জলে ভিজিয়ে খেলে ব্রণ, কোষ্ঠকাঠিন্য, অন্ত্রের সমস্যা, মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আম জলে ভিজিয়ে রাখলে অতিরিক্ত তাপ তৈরী হয় না। তাই ডায়ারিয়া এবং অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন: এখন দেখা যা’চ্ছে গরমেই বেশি পা ফা’ট’ছে! কিন্তু কেন?

এছাড়া আমকে কীটপতঙ্গের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য নানাধরণের রাসায়নিক, কীটনাশক ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়, যা শরীরে শ্বাসকষ্টের সমস্যা, অ্যালার্জি, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, চোখ ত্বকে জ্বালা ইত্যাদি নানারকম অসুস্থতার সৃষ্টি করতে পারে।

ঠান্ডা রাখা আম শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায়, ফলে থার্মোজেনেসিস রোগ হয়। তাই আমকে কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখলে তার থার্মোজেনিক বৈশিষ্ট্য অনেক টা কম হয়। এছাড়া আম জলে ভিজিয়ে রাখলে তাতে থাকা ফাইটোকেমিক্যালসও দূর হয়।