আমাদের দেশ ভারতবর্ষ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। যেখানে হয়তো সবচেয়ে বেশী ধর্মের মানুষ বসবাস করে অন্যান্য দেশের তুলনায়। সকল ধর্মের মানুষকে নিয়েই তৈরি এই দেশ ভারত। অনেকে অনেক নামেই ডাকে এই দেশকে। কেউ ডাকে ইন্ডিয়া, কেউ ভারত আবার কেউ হিন্দুস্থান। তবে এই দেশের এত নামের পিছনে অনেকগুলো গল্প আছে বলে জানা যায়। আর এই গল্প গুলো থেকেই জানা যায় আমাদের দেশ কিভাবে গঠন হলো। জানা যায়, পুরাণে যে রাজা দুষ্মন্ত ও শকুন্তলার গল্প আমরা পড়েছি সেই গল্পে সেই রাজা ও শকুন্তলা দেবীর পুত্র ছিল একটি যার নাম ছিল ‘ ভরত ‘।
অনেকে মনে করেন তাঁর নাম অনুসারেই ভারতের নাম দেওয়া হয়। কারণ ও অনেক জ্ঞানী মানুষের মুখ থেকেই শোনা যায় ভরত তাঁর শাসনকালে ভারত ভূখণ্ড জয় করে, তাঁর নাম ভারত রেখেছিলেন। আবার হিন্দুস্থান নামকরণের পিছনেও একটা গল্প আছে। সিন্ধু নদীর অববহিকায় নাকি প্রথম ভারতীয় সভ্যতা গড়ে ওঠে। আর সেইসময়ে ফার্সি ভাষায় অনুকরণেই সিন্ধু নদীর তীরে থাকা মানুষদের হিন্দু বলা হতো।
আর হিন্দুরা যেখানে অবস্থান করছেন সেটা ‘ হিন্দুস্থান’ নামেই পরিচিত ছিল। তবে পরবর্তী সময়ে গ্রিকরা আমাদের ভারতে এলে এই দেশের অন্য নাম দেয় তারা। তারা বলতো ইন্দোই বা ইন্দাস নদীর অববাহিকার অদিবাসী হলেন ভারতীয়রা। তাই সেই নাম অনুসারে তারা এই ভূখণ্ডের নাম দেন ” ইন্ডিয়া” ও এই অববাহিকার মানুষদের ডাকতেন ইন্ডিয়ান নামে। তবে হিন্দুস্থান নামটি এখন আর অতটা প্রচলিত নয়।
আরো পড়ুন: আমার ক’থা তখন শুনলে আ’জ এই অবস্থা হ’তো না অনুব্রতর, দাবি সিউড়ির প্রাক্তণ বিধায়কের
কারণ এই দেশে শুধু হিন্দু নয় মুসলিম, শিখ, তেলেগু,পাঞ্জাবি, মারওয়ারি এমনকি চিনা ও কিছু অ্যাংলো আমেরিকান মানুষও থাকে তাই অনেকেই মনে করেন হিন্দুস্তান হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের রাষ্ট্র। যে কারণে হিন্দুস্তান নামের পরিবর্তে ভারত বা ইন্ডিয়া এই দুটি নামই বেশি প্রাধান্য পায়।
তবে এই সমস্ত নামের পূর্বে এই ভূখণ্ডের নাম ছিল আসলে ” ভারতবর্ষ ” । যেটা পাকিস্তান , বাংলাদেশ ও বর্তমান ভারত সব কটি দেশ নিয়ে গঠিত ছিল। তবে ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার পর ভারত একটি আলাদা দেশ হয়ে গিয়েছে। এবং অন্য গুলোও আলাদা আলাদা দেশ হয়ে গিয়েছে। তবে বর্তমানে এই দেশকে ভারতবর্ষের বর্ষ কেটে শুধু ‘ ভারত ‘ বলেই রাখা হয়েছে। বর্তমানে এটি ভারত ও ইন্ডিয়া এই দুই নামেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত।