বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের জালে ইদানিং গভীর সমুদ্রের মাছ উঠে আসছে। ইলিশ ধরতে গিয়ে প্রায়ই তারা গভীর সমুদ্রের সেইলফিশ জাতীয় মাছ ধরছেন। পদ্মা, মেঘনা এবং দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোতেও প্রায়ই সেইলফিশ আটকা পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে গভীর সমুদ্রের মাছ এইভাবে মোহনাতে চলে আসা নিয়ে মৎস্যজীবী এবং বিশেষজ্ঞদের মধ্যে দ্বিমত সৃষ্টি হয়েছে।
একদল মনে করছেন সমুদ্রে সৃষ্ট দূষণ এর পেছনের কারণ। গভীর সমুদ্রে দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়াতে গভীর সমুদ্রে বসবাসকারী মাছ এবং অন্যান্য প্রাণী ক্রমশ মোহনার দিকে ছুটে আসছে। যদিও এই বক্তব্যকে সমর্থন করেন না মৎস্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাদের বক্তব্য, প্রধানত খাদ্যের সন্ধানে তারা মোহনার দিকে আসছে। এ সময় কালে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মাছ গভীর সমুদ্র থেকে মোহনার দিকে ছুটে আসে।
ইলিশ এবং অন্যান্য ছোট মাছ কার্যত সেইলফিশদের খাদ্য। যে কারণে ইলিশ মাছের পেছনে ধাওয়া করতে করতে এই মাছগুলো মোহনার দিকে চলে এসেছে। মৎস্যজীবীদের জালে এই মাছ এর আগেও বহুবার ধরা পড়েছে। যতদূর জানা যাচ্ছে, এই মাছের মুখের সামনের দিকটা অত্যন্ত ধারালো এবং ছুঁচলো হয়। তাদের অত্যন্ত ধারালো দাঁত থাকে।
এই মাছ সাধারনত মানুষের খাওয়ার যোগ্য। তবে মানুষ এই মাছ খুব একটা খেতে পছন্দ করেন না। যদিও মৎস্যজীবীরা সেইলফিশ ধরলে সেগুলিকে বাজারে কেটে বিক্রি করেন। বিভিন্ন চিনা রেস্টুরেন্টে বারবিকিউ গ্রিল করার জন্য এই মাছ নিয়ে যাওয়া হয়। বেশ কিছু জায়গায় টুনা মাছের বদলে এই মাছ ব্যবহার করা হয়।