সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

জীবনের পুকুরের জল ওঠানোর টা’কা কে দেবে? টা’কা মে’টা’তে গিয়ে মাথায় হাত তৃণমূল নেতৃত্বর

গত শুক্রবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের আন্দিতে জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি করতে যায় সিবিআই।তিনি বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। সেই সময় তার বাড়িতে একটি মিটিং চলছিল।সেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূলের একাধিক জেলা পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় নেতারা। এদের সকলকে গৃহবন্দি করে তল্লাশি শুরু করে সিবিআই।

তথ্য লোপাট করতে, তল্লাশি চলাকালীন জানলা দিয়ে বাড়ির পিছনের আমবাগানে বেশ কিছু গুরুত্তপূর্ণ নথি ও একটি পুকুরে তার দুটি মোবাইল ফোন ফেলে দেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। পরে সেগুলি উদ্ধার করা হয়। এরপর নিজেকে বাঁচাতে বাড়ির পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের হাতে গ্রেফতার হন।

বর্তমানে তিনি রয়েছেন সিবিআই এর হেফাজতে। বিধায়কের বাড়িতে প্রায় ৭২ ঘণ্টা তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা।এর মধ্যে প্রায় ৬০ ঘন্টা সময় ব্যয় হয়েছে পুকুর থেকে মোবাইল উদ্ধার করতেই। মোবাইল উদ্ধারের জন্য পুকুরের সমস্ত জল বেড় করে দেওয়া হয়।

আরো খবর: কা’র্ড দিয়ে নিমন্ত্রণ, তাতে লেখা “দয়া করে আসবেন না”, আজব বি’য়ে’র কা’র্ড ভাইরাল

এজন্য সিবিআই আধিকারিকরা সেখানকার তৃণমূলের ব্লক সহ-সভাপতি দিলাওয়ার শেখ এবং অঞ্চল সভাপতি সাধনের কাছে সাহায্য চায়। তারাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তারা সমস্ত জোগাড় করে দেন। শ্রমিক, ট্রাক্টর সব হাজির করেন তারা।

সাধন জানাইছে ,”এই দু’ দিনে ২৮ জন শ্রমিকের পারিশ্রমিক হয়েছে ১৪,০০০ টাকা। জিসিবি এবং ট্র্যাক্টর ঘণ্টায় ২,০০০ টাকা করে নিয়েছে। সেগুলি প্রায় ১০ ঘণ্টা কাজ করেছে। সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৪৮,০০০ টাকা।” মোবাইল মিলতেই হাওয়া সিবিআই।

এই সব টাকা দেওয়ার কথা বেমালুম ভুলে গেছেন তারা। যেহেতু সাধনের কথাতেই কাজ করতে এসেছিলেন শ্রমিকেরা, তাই তাকেই এখন সব টাকা মেটাতে হচ্ছে।