নজরবন্দি হয়তো একেই বলে। দেশের নাগরিকরা যেমনভাবে বন্দি ঠিক একই ভাবে তার পরিবারও বন্দি। এখানে কার কথা বলা হচ্ছে জানেন? উত্তর কোরিয়ার প্রধান কিম জং উনের কথা বলা হচ্ছে। তার দেশের মানুষের তার অনুমতি ছাড়া কিছুই করতে পারবে না। হয়তো হাচতে টিকিট কাটতে হয় না ঠিকই, কিন্তু দেশের নিয়মকানুন একেবারে সর্বনেশে। দেশের ভেতরে কি হচ্ছে না হচ্ছে সেটা সে বাইরে দেখাতে চায় না।
দেশের অচলায়তন অবস্হার কথা বাইরে প্রকাশ করতে দেয় না কেউ। এই নিয়ে কিমের প্রশাসন খুবই সতর্ক। এই সমস্ত নিয়ম তো দেশের নাগরিকদের জন্য আগের থেকেই ধরাবাঁধা ছিল কিন্তু ফার্স্ট লেডির ক্ষেত্রেও মে এই নিয়ম মানা টা বাধ্য তার খবর সায়নছ এসেছে সম্প্রতি। কিমের নিয়মের বাইরে নাকি তার স্ত্রীও যেতে পারে না।
২০০৯ সালে তাঁদের বিয়ে হয়েছে। ২০১২ সালে উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমে কিমের পাশে প্রথম তাঁকে দেখা যায়। তাকে জনসমক্ষে দেখা যায় না তেমন, তাই বাড়ির বাইরে গেলেও খবর রটে যায় । সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, কিমের স্ত্রী নাকি ছিলেন একজন সঙ্গীতশিল্পী। কিন্তু বিয়ের পর তাকে সমস্ত কিছু বাদ দিতে হয়েছে।
আরো খবর: নিয়োগ কা’ণ্ডে শান্তনুর ইনকাম করা টা’কা কোথায় আ’ছে? এবার ED-র টা’র্গে’টে প্রিয়াঙ্কা
কিম ও রির তিনটি সন্তান রয়েছে।কিন্তু তাদের ১ টি ছেলের কথাই আপাতত জানা গিয়েছে। কিমের অন্য কোনো সন্তানদের কথা এখনও জানা যায় নি। ২০১৩ সালে সেই ছেলের জন্ম হয়েছে।
কিন্তু কিমের স্ত্রীর জীবনে রয়েছে অনেক ধরাবাঁধা, তাকে অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। একা বের হওয়া যাবে না, নির্দিষ্ট ড্রেস কোড রয়েছে তার।তার জন্য রক্ষণশীল, সম্পূর্ণ শরীর ঢাকা পোশাক পরতে হবে তার। এমনকি তার চুল আঁচড়ানোর ক্ষেত্রেও রয়েছে নিয়ম, যেমন তেমনভাবে আঁচড়ানো যাবে না।।
